বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্য খাত পুনর্গঠন

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয় দুর্নীতির ঘাঁটি। এই দুর্নীতির ঘাঁটিকে সুনীতির পথে চালানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি স্বচ্ছভাবে মন্ত্রণালয় চালাবার অঙ্গীকার করেছেন। গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন সাফ সাফ বলেছেন, লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিতে হবে। মালিকরা নিজেরা যদি বন্ধ না করেন, তাহলে কঠিন পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রণালয়। লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারবে না বলে সাবধান করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেছেন, তিনি নিজেও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের ভুক্তভোগী। সুতরাং কখনো এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান কঠোর থাকবে। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, অনিবন্ধিতদের নিবন্ধনের আওতায় আনা ও বন্ধের অভিযান শিগগিরই শুরু হবে। সব মিলে প্রায় আট হাজার হাসপাতাল, নয় হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধিত রয়েছে। বড় হাসপাতাল বলে কোনো ছাড় নয়। শিশু আয়ানের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আম জনতার মৌলিক চাহিদা পূরণকে লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। বলা যায়, স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় আসা বঙ্গবন্ধু সরকারকে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে যাত্রা শুরু করতে হয়েছিল। তারপরও স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী। প্রতিটি সরকার স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে অবদান রেখেছে। কিন্তু চোর মহাচোরদের দৌরাত্ম্যে দেশবাসী কতটা সেবা পেয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। স্বাস্থ্য খাতের পুনর্গঠনে ইতিবাচক অবদান রাখতে চাইলে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দুর্নীতি ও অব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর