শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অর্থনৈতিক কূটনীতি

বয়ে আনুক সাফল্যের বার্তা

নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে নড়বড়ে হওয়া বৈদেশিক সম্পর্ক শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বলা হয়ে থাকে, একবিংশ শতাব্দীর এই যুগ অর্থনৈতিক কূটনীতির। অর্থনৈতিক সম্পর্ক সবল করতে কূটনৈতিক তৎপরতায় জোর দেয় প্রতিটি অগ্রসর দেশ। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কূটনীতিতে পারঙ্গমতা দেখাতে পারেনি। এ ব্যর্থতার দায় ভোগ করতে হয়েছে জাতিকে। বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক শিথিল হয়ে পড়েছিল কূটনৈতিক ব্যর্র্থতার কারণে। এমনকি ভারতের সঙ্গেও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। নতুন সরকারের জন্য বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও অর্থনীতিকে সবল করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গত কয়েক দিনের কার্যক্রমে আশার সঞ্চার হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততার সৃষ্টি হলেও সরকার গঠনের পর তা বদলে গেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এর পরপরই বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, জানাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, খোদ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করে দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এ সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান গতিশীল ও বহুমুখী সম্পর্কের প্রশংসা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে সচেতনভাবে। ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি করে। দাতা সংস্থাগুলো বাংলাদেশে শেখ হাসিনার টানা চারবারের ক্ষমতায় আসাকে স্বাগতই জানিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তারা। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচন বর্জন করায় নির্বাচনোত্তর সরকার বহির্বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না তা নিয়ে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল তা ইতোমধ্যে অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। এ নীতি-কৌশলকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর