শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায্য শান্তি

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা একমাত্র পথ

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের ১০০ দিন অতিক্রম করেছে গত সপ্তাহে। ইসরায়েলের মতো সমীহ জাগানো সামরিক শক্তিধর গাজায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখনো চূড়ান্ত জয়লাভের কোনো বার্তা দিতে পারেনি। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় শহীদ ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার। এ সময়ের ভিতর প্রায় ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের অবরুদ্ধ গাজায় লাগাতার হামলা চালিয়েও সামরিক দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ইসরায়েল মহাশক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ইতি টানতেই পারেনি বরং এখন শঙ্কা- এ যুদ্ধ আরও বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। গত শনিবার লেবাননের হিজবুল্লাহ-ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে ইরান-সমর্থিত ‘প্রতিরোধ বলয়’-এর যোদ্ধারা এখন পর্যন্ত সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর অন্তত ১৩০ বার হামলা করেছে। ইরাকে হামলা হয়েছে ৫৩ বার ও সিরিয়ায় ৭৭ বার। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসকে দমনের উদ্দেশ্যে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটি আছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি। পরিণতিতে লেবাননের সঙ্গে এর সীমান্ত-সংঘাত অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যায়। দক্ষিণ সীমান্তে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইসরায়েলকে এর উত্তর সীমান্তে হিজবুল্লাহর দিকেও লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে। এরপর বিশ্ববাসী লোহিত সাগরকে এতটাই উত্তপ্ত হতে দেখে যে, তা ‘শীতল’ করতে বিশ্বের দুই পরাশক্তিকে সামরিক অভিযানে নামতে হয়েছে। হুতি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পরদিন জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই চায় না মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতে ছড়িয়ে পড়ুক। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদও বলেছে, যুদ্ধের সম্প্রসারণ তাদের কাম্য নয়। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ তথা মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা প্রশ্নে ইতিবাচক মনোভাব দেখাতে হবে। সেটিই হবে শান্তির প্রকৃষ্ট পথ।

 

সর্বশেষ খবর