শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

খেমার সভ্যতার কথা

খেমার সভ্যতার কথা

খেমার সভ্যতা। ইতিহাসের পাতায় এখনো সমুজ্জ্বল এ সভ্যতা। সর্বকালের অন্যতম রহস্যাবৃত সাম্রাজ্য হিসেবেও একে বিবেচনা করা হয়। খেমার সাম্রাজ্য ‘অ্যাঙ্কর’ সভ্যতা নামেও পরিচিত। এ সভ্যতার স্থাপত্যশৈলী প্রশংসিত। এই সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় প্রাসাদে গোলন্দাজদের জন্য ইস্পাত নির্মিত টাওয়ার এবং খোদাইকৃত অসাধারণ শিল্পকর্মের ইমারতগুলো শিল্পায়ন পূর্ববর্তী বিশ্বের এক শক্তিশালী সাম্রাজ্যের স্মৃতিচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে। খেমার সভ্যতার গোড়াপত্তন কোথা থেকে এসেছে এ নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। তবে বেশিরভাগ বিশ্লেষক একমত হয়েছেন, কম্বোডিয়ার প্রাচীন রাজারা খেমার সভ্যতা নির্মাণ করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দের দিকে এ সভ্যতা ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং লাওসে বিস্তৃতি লাভ করে। খেমার সভ্যতার কেন্দ্র ছিল ‘অ্যাঙ্কর’ নামের একটি শহর। ‘অ্যাঙ্কর’ সংস্কৃত শব্দ যার অর্থ ‘শহর’। শুধু স্থাপত্যশৈলীর জন্যই এ সভ্যতা অমরত্ব লাভ করেছে। এ সভ্যতার অন্যতম দিক হলো- শুরুর দিকের যোগাযোগ তৈরিকারী সভ্যতাগুলোরও এটি একটি। স্থল যোগাযোগ ব্যবস্থার মূল সমস্যা বিভিন্ন খাল ও নদীর ওপর সেতু নির্মাণও ছিল যুগান্তকারী খেমার সভ্যতার অন্যতম কীর্তি। খেমার রাজা সপ্তম জয়াভারনামের সময় রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কিছু হাসপাতাল নির্মাণ করেন। বাইরের শত্রুর আক্রমণ থেকে রাজ্য রক্ষায় খেমার রাজারা পাথর দিয়ে এমন কিছু সীমানা দেয়াল তৈরি করেন যা ডিঙিয়ে শত্রুর পক্ষে খেমার রাজ্যে প্রবেশ করা ছিল প্রায় অসম্ভব। অনেকেই বলে থাকেন, খেমার সভ্যতার লোকেরা ধর্মভীরু ছিল। এদের বেশিরভাগই বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব পালন করত। প্রতি বছরই খেমার সাম্রাজ্যে কুস্তি প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সামাজিক উৎসবের তালিকায় ছিল গানের আসর ও সরকারি ধর্মীয় বিশেষ দিবস উপলক্ষে আতশবাজি পোড়ানো।  শহরের কেন্দ্রে একটি মন্দির নির্মাণ করেছিল তারা। পুরো সভ্যতাটি হারিয়ে যায় কালের গহ্বরে। কীভাবে এ সভ্যতা মানুষের আড়ালে চলে যায় এ নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর