রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ধর্মান্ধদের থেকে মহানায়িকার বাড়ি উদ্ধারের গৌরব

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

ধর্মান্ধদের থেকে মহানায়িকার বাড়ি উদ্ধারের গৌরব

গত ১৭ জানুয়ারি ছিল সর্বকালের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবস। প্রতি বছর এ দিবসটি এলেই আমার মনে পড়ে সেই বিচারিক আদেশটির কথা, যে রায় দিয়ে আমি জামায়াতিদের দখল থেকে পাবনা শহরে তাঁর বাড়িটি উদ্ধারের আদেশ দিতে পেরেছিলাম। হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি থাকাকালে অগণিত সংখ্যক মামলার রায় দিতে হয়েছে। সবগুলো মনে রাখা কখনো সম্ভব নয়।  তবে কিছু সংখ্যক মামলার কথা কখনো ভোলার নয় সেগুলোর গুরুত্বের কারণে। এসবের মধ্যে রয়েছে মহানায়িকার বাড়ি দখলমুক্ত করার মামলাটিও, যে বাড়িটি অবৈধভাবে ধর্মান্ধ, ধর্ম ব্যবসায়ী জামায়াত নেতারা দখল করে রেখেছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ সিদ্ধান্তে। ২০১২ সালের কথা। গণস্বার্থসংক্রান্ত মামলায় সিদ্ধহস্ত অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদের আবেদনক্রমে মহামান্য হাই কোর্টের সেই সময়ের মাননীয় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী (পরে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন) মহোদয়ের ২০১২ সালে দেওয়া তাঁর রায়ে পরিষ্কার ভাষায় আদেশ দিয়েছিলেন সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি থেকে জামায়াতি দখলদারদের উচ্ছেদ করার। হাই কোর্টের সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন জামায়াত নেতারা। ২০১৪ সালে আপিল বিভাগে আপিল শুনানিকালে তাদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে হাজির হন জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পুত্র ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। ব্যারিস্টার রাজ্জাক তড়িঘড়ি করে যুক্তরাজ্যে চলে গিয়েছিলেন এই ভয়ে যে, যুদ্ধাপরাধী মামলায় তিনিও আসামি হতে পারেন। সে কারণেই সুচিত্রা সেনের বাড়ির মামলায় ব্যারিস্টার রাজ্জাক হাজির না হয়ে হাজির হয়েছিলেন উপরে উল্লিখিত তার ব্যারিস্টার পুত্র। ব্যারিস্টার ইমরান তার আর্জিতে উল্লেখ করেছিলেন, বিগত সরকারের মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর (যিনি নিজেও জামায়াত নেতা এবং বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলে পাবনা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন এবং পরবর্তীতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যার ফাঁসি হয়েছিল) উদ্যোগে সরকার সুচিত্রা সেনের পরিত্যক্ত বাড়িটি ইমাম গাজ্জালি ট্রাস্ট নামক জামায়াতে ইসলামের এক সংস্থার কাছে দীর্ঘমেয়াদে ইজারা (লিজ) প্রদান করে দিয়েছে বিধায় লিজের সময়কাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। তারা সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িটিকে জামায়াতি রাজনীতির শিক্ষালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।

আমিসহ তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ শুনানির পর ২০১৪ সালের মে মাসে জামায়াতের আপিল এই বলে খারিজ করে আদেশ প্রদান করেন যে শুরুতেই জামায়াতিদের কাছে লিজ দেওয়াটা ছিল অবৈধ। এ মামলার রায় লেখার দায়িত্ব পেয়ে আমি যারপরনাই উৎফুল্ল হয়ে যথাসম্ভব অল্প সময়ের মধ্যে ৫৯ পৃষ্ঠার রায়টি লিখে সরকার এবং পাবনা জেলার ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছিলাম বাড়িটি তাৎক্ষণিকভাবে জামায়াতিদের দখলমুক্ত করে সেখানে সুচিত্রার স্মৃতি রক্ষণের জন্য জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করতে। কালবিলম্ব না করে সেই সময়ের সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সাহেব আমার রায়ে লেখা নির্দেশক্রমে জামায়াতিদের উচ্ছেদ করে সেখানে সুচিত্রার স্মৃতি রক্ষার জন্য জাদুঘর স্থাপন করেন। দুর্ভাগ্যবশত সুচিত্রা সেন আমার লেখা রায়টি দেখে যেতে পারেননি, কারণ তার কয়েক মাস আগেই তিনি কোটি কোটি ভক্তকে অশ্রুসিক্ত করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছিলেন।

রায়ে আমি সুচিত্রা সেনকে মানবরূপী দেবী এবং রুপালি পর্দার শ্রেষ্ঠতম আকর্ষণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম। সুচিত্রা-উত্তম প্রজন্মের মানুষ মহানায়িকাকে দেবীরূপেই দেখতেন। আজও বাঙালির মনে চির অমলিন সুচিত্রা সেনের হাসি। এই জুটির প্রতি সর্বজনের গভীর আবেগ স্বভাবত কারণেই বিরাজ করছে। সে সময়ে সুচিত্রা-উত্তমের যেসব ছবি পূর্ব বাংলায় আসতে পেরেছিল, তার প্রায় প্রতিটিই স্কুল পালিয়ে একাধিকবার দেখেও মন ভরত না। মনে আছে ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’ ছবিটি এক ডজনবার দেখেছি, শুধু সুচিত্রার অনবদ্য অভিনয়ে সম্মোহিত হয়ে। সঙ্গে অবশ্য হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কালজয়ী গান ‘এই রাত তোমার আমার’, মান্না দের ‘এমন বন্ধু আর কে আছে’ এবং লতার ‘আর যেন নেই কোনো ভাবনা’ গান তিনটি মিলে সৃষ্টি করেছিল এক ইন্দ্রজালসম অবস্থা। ছবিটির শেষ দৃশ্যে মহানায়িকার অভিনয় দেখে মনেই হয়নি তিনি অভিনয় করছিলেন, মনে হচ্ছিল যেন বাস্তব জগতেরই ঘটনা। সব দর্শকই নির্বাক হয়ে পড়েছিলেন, কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। পৃথিবীর অন্য কোনো অভিনেত্রী অভিনয়ের মাধ্যমে একটি গল্পভিত্তিক ঘটনাকে এমন জীবন্ত রূপ দিতে পারতেন কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ‘হারানো সুর’ ছবিটিও অর্ধ ডজনবার দেখেছি, যেখানেও সুচিত্রা ছাড়া ভারতবর্ষের অন্য কোনো অভিনেত্রী এমন আবেগ ছড়াতে পারতেন না। গীতা দত্তের গাওয়া ‘তুমি যে আমার’ গানটির সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে মহানায়িকা এক জাদুকরী পরিবেশ সৃষ্টি করে দর্শকদের কয়েক মিনিটের জন্য অন্য এক জগতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ‘অগ্নি পরীক্ষা’ ছবিটিতে সুচিত্রা-উত্তমের কালজয়ী অভিনয়ের কারণে এ জুটি প্রথমবারের মতো জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যান। পরে ‘শাপ মোচন’, ‘সবার উপরে’, ‘মরণের পরে’, ‘বিপাশা’, ‘শিল্পী’, ‘এন্থনি ফিরিঙ্গি’ প্রভৃতি ছবি দেখার জন্য স্কুল পালাতে গিয়ে শিক্ষকদের তিরস্কার শুনতে হয়েছে কতবার, তা গুনে শেষ করা যাবে না। সাগরিকা ছবিতে সুচিত্রা ছাড়া অন্য কেউ অভিনয় করলে ছবিটি হয়তো এতটা দর্শকপ্রিয় হতে পারত না। ‘হসপিটল’ ছবিতে অশোক কুমারের মতো শক্তিমান অভিনেতাকেও সুচিত্রার কাছে খুদে মনে হয়েছে। গীতা দত্তের গাওয়া ‘এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায়’ গানটি সুচিত্রার ঠোঁটে সৃষ্টি করেছিল এক স্বপ্নের মায়াজাল। মহানায়িকা তাঁর স্বভাবজাত ভঙ্গিতে সেই গানটির সঙ্গে ঠোঁট মিলানোর কারণে গানটি অধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিটি মস্কোর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শীর্ষ পদক অর্জন করেছিল। ‘সপ্তপদি’ ছবিতে উত্তম কুমারের সঙ্গে মোটরবাইকে চড়ে, হেমন্ত এবং সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ গানের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে সুচিত্রা-উত্তম জুটি যেভাবে পথপরিক্রমণ করছিলেন, তা অভিনয় জগতে অভূতপূর্ব। সেই দৃশ্য এমনকি বর্তমান প্রজন্মের মানুষকেও সম্মোহিত করছে। শরৎচন্দ্রের মতো শক্তিশালী ঔপন্যাসিকের লেখা কাহিনি অবলম্বনে তৈরি করা ছবিতে শরৎচন্দ্র যুগের পারিপার্শ্বিকতা সৃষ্টি করে অভিনয় করা মোটেও সহজ নয়। অথচ ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’, দিলীপ কুমারের বিপরীতে ‘দেবদাস’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘দত্তা’ ছবিতে মহানায়িকার অভিনয় পারদর্শিতা গোটা ভারতবর্ষের দর্শকদের অবাক করে দিয়েছে। ‘ইন্দ্রানী’, ‘পথে হলো দেরি’, ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’, ‘হার মানা হার’, ‘কমললতা’, ‘দেবী চৌধুরানী’, ‘প্রিয় বান্ধবী’ প্রভৃতি ছবিও জনপ্রিয়তার উচ্চ শিখরে উঠেছিল মহানায়িকার অদম্য অভিনয়শৈলীর কারণে। দিলীপ কুমার ছাড়াও তিনি বোম্বের আর এক কিংবদন্তি অভিনেতা দেবানন্দের বিপরীতে অভিনয় করে অবাঙালি দর্শকদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন। ‘আঁধি’ ছবিতে তাঁর অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করেছে। বোম্বের অন্য এক প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা রাজকাপুরের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েও তিনি বিভিন্ন কারণে সে প্রস্তাব অগ্রাহ্য করেছিলেন। এমনকি অস্কারপ্রাপ্ত বিশ্বখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের দেওয়া শর্ত মেনে নিতে পারেননি বলে তিনি তাঁর প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। অভিনয় জগতে সুচিত্রা সৃষ্ট দক্ষতার রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে বলে মনে হয় না। তাঁর বাচনভঙ্গি, অমলিন হাসি, চোখের ভাষা, চলাচল ভঙ্গি এসব কিছুই তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এগুলো যেন একান্তই সুচিত্রা সেনের নিজস্ব একচেটিয়া দখলভুক্ত।

মহানায়িকার মহা প্রয়াণের কয়েকদিন পর ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম সুচিত্রা স্মরণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন যাতে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৈয়দ বদরুল হায়দারেরও ধারাবিবরণীতে ভূমিকা ছিল। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মাহফুজ আনাম তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা জন্মানোর বহু আগেই তিনি একতরফাভাবে সুচিত্রার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। এটা যে শুধু মাহফুজ আনাম সাহেবের কথা তা নয়, সে সময়ে একতরফাভাবে সুচিত্রার প্রেমে আসক্ত হননি এমন পুরুষের সংখ্যা খুব কমই ছিল এবং তাঁদের অনেকেরই বয়স মাহফুজ আনাম সাহেবের মতো, সুচিত্রা থেকে অনেক কম ছিল।

ভারতের অবাঙালি এলাকার লোকেরা সুচিত্রাকে মধুবালার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন তাঁর রূপের প্রশংসা করে। বলা হয়, ভারতের চলচ্চিত্র জগতে সবচেয়ে রূপবতী অভিনেত্রী ছিলেন পাঠান বংশীয় মধুবালা, আর বাংলায় তাঁরই সমতুল্য ছিলেন সুচিত্রা সেন। কিন্তু সুচিত্রা শুধু তাঁর রূপের কারণেই সবার মন কাড়েননি, বিরল অভিনয় প্রতিভা এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্বই তাঁকে শীর্ষে স্থান দিয়েছে। তাঁর অভিনয়ে এমন সব বিকল্পহীন বৈশিষ্ট্য ছিল, যা অন্য কেউ আয়ত্ত করতে পারেননি। সে অর্থে তিনি ছিলেন অনন্যা, তাঁর বিকল্প কেউ হতে পারেননি, হয়তো ভবিষ্যতেও কেউ পারবেন না। দুটি গান রেকর্ড করে তিনি গায়িকা হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছিলেন। মনে করা হয় সংগীত জগতে অবস্থান করলে তিনি সন্ধ্যা, গীতা দত্ত, লতা, সুমন কল্যাণপুরের মতো অনন্য সাধারণ গায়িকা না হতে পারলেও আশা ভোঁসলে, প্রতীমা, হৈমন্তী শুক্লা, আলপনা, চিত্রা সিনহা, সবিতা চৌধুরীদের কাছাকাছি পৌঁছতে পারতেন নিশ্চয়ই।

মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক মতবাদের ধারক। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীনও তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। ১৯৭১-এর ৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কলকাতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে যে সম্মেলন ডেকেছিলেন, সেখানে শ্রীমতী গান্ধী তাঁর পাশের চেয়ারেই বসিয়েছিলেন সুচিত্রা সেনকে। প্রয়াত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর থেকে শুনেছি ’৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কলকাতা সফরকালে সুচিত্রা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তাঁর পদধূলি নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পৈতৃক ভূমি পাবনা ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও এক পর্যায়ে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান বলে সে ইচ্ছা কখনো পূরণ হয়নি। কেন তিনি অন্তর্ধানে চলে গিয়েছিলেন, সে রহস্য সম্ভবত কখনো উন্মোচিত হবে না। জনসম্মুখে না আসার প্রত্যয়ের কারণে তিনি ভারতের চিত্রজগতের সর্বোচ্চ সম্মান, দাদাভাই ফালকে পুরস্কারও গ্রহণ করেননি। অন্তর্ধানে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র এবং সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন উজ্জ্বল নক্ষত্র তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলকাতা গেলে মহানায়িকা সাদরে গ্রহণ করে তাঁদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করেছেন, তাঁর শৈশবে পাবনার স্মৃতির প্রসঙ্গ টেনেছেন। এমনই ব্যক্তির মধ্যে ছিলেন রাজনীতি সচেতন জনপ্রিয় চলচ্চিত্রশিল্পী আলমগীর এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সামিয়া জামান। মহানায়িকার সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎকারের বিবরণ থেকে জানা গেছে, মানুষ হিসেবেও সুচিত্রা কত বড়মাপের ছিলেন। অনেকেই মহানায়িকার সাক্ষাৎ পাওয়াকে জীবনের বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন।

আমার লেখা আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের কারণে মহানায়িকার বাড়ি ধর্মান্ধদের কাছ থেকে দখলমুক্ত হওয়া এবং সেখানে সুচিত্রা জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।

                লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

সর্বশেষ খবর