রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

জন্মকালীন প্রবণতায় বিএনপির বর্জন

আলম রায়হান

জন্মকালীন প্রবণতায় বিএনপির বর্জন

একটি কবিতার জন্য প্রায় পাঁচ দশক ধরে নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার। তাঁর কবিতার ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’- বহুল উচ্চারিত, সমাদৃত। এ কবিতার জন্য কবি প্রথমে ১৩ বছর ভারতে ও ১৯৮৭ থেকে জার্মানিতে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। ১৯৭৪ সালে যখন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ  দুর্ভিক্ষের গ্রাসে বিপর্যস্ত তখন একদল লোক দাউদ হায়দারের কবিতাকে কেন্দ্র করে দেশকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বুলন্দ আওয়াজ দিয়ে মাঠে নেমে পড়ল এবং পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে, বঙ্গবন্ধু সরকার কবিকে প্লেনে তুলে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হন।  এর আগে ১৯৭৪ সালের ১১ মার্চ পুলিশ কবিকে গ্রেফতার করে। একই বছর ২১ মে তাঁকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং ২২ মে কলকাতাগামী একটি ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। ওই ফ্লাইটে কবি ছাড়া আর কোনো যাত্রী ছিলেন না। কবির নিরাপত্তায় এবং তাঁকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন ছিল বঙ্গবন্ধু সরকার। একপর্যায়ে ভারত সরকারও নির্বাসিত কবির দায়িত্ব নিতে চায়নি। এদিকে পাসপোর্ট না থাকায় তিনি অন্য কোনো দেশেও যেতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান নোবেলবিজয়ী জার্মান কবি গুন্টার গ্রাস। বন্ধুর সহায়তায় ১৯৮৫-এর কোনো এক প্রভাতে জার্মানির বার্লিনে গিয়ে পৌঁছান দাউদ হায়দার। সেই থেকে তিনি সেখানেই আছেন। তিনি নির্বাসিত কবি এক! ইতিহাসের পাতা থেকে এ ঘটনা তুলে আনার কারণ মোটেই পত্রিকার পাতা ভরানো নয়। নয় পুরনো কাব্য প্রেম হঠাৎ জাগ্রত হওয়া। আবার এটি মোটেই প্রমাণ করার প্রয়াস নয় যে, ’৭৫-এর থিংকট্যাংক মরিয়া হয়ে উঠেছিল ’৭৪ সালে দেশে সর্বগ্রাসী দুর্ভিক্ষ চলাকালেই। বলাবাহুল্য, উল্লিখিত কবিতার বক্তব্যের সঙ্গে অনেকের মতোই আমারও রয়েছে দ্বিমত। এরপরও এ প্রসঙ্গ তোলার কারণ হচ্ছে কবিতার জোরালো বাক্য, ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ...।’ যা বিএনপির সঙ্গে একপ্রকার মিলে যায়। এ কারণেই নির্বাচন বর্জনে দলটির দৃঢ়তার বাড়াবাড়ি স্পষ্ট। নির্বাচন বর্জনের ক্ষেত্রে এ দলটির প্রবণতার কোনো কার্যকারণ অনেকেই খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন কেন বর্জন করা হলো তা ধারণা করা কঠিন। তবে কেউ কেউ কিঞ্চিৎ ধারণা করছেন, নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি বিএনপির জন্মগত প্রবণতা। যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একরকম বলা চলে, পাপ...! এ আলোকেইে মনে পড়েছে দাউদ হায়দারের কবিতা, ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ...’ ক্ষমতার মসনদে বিএনপির জন্ম। সামরিক শাসক জেনারেল জিয়ার মগজ-মনন থেকে উৎসারিত বিএনপিকে গণতন্ত্রের লেবাস পরানো হয়েছে। পিতলের মূর্তিতে সোনার প্রলেপ দেওয়ার মতো। হয়তো জন্মকালেই ধরে নেওয়া হয়েছিল, বিভিন্ন সময় নানান ধরনের প্রলেপ দিয়ে ক্ষমতায় থাকবে বিএনপি। এ জন্মকালীন প্রবণতা অথবা দোষের কারণে এ দলটি ক্ষমতার বাইরে থাকার বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণ করতে পারে না। যে কারণে ক্ষমতার বাইরে গেলেই জলের বাইরের মাছের দশা হয় দলটির। যে কারণে নির্বাচনকে ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র উপায় বলে ভাবতে মোটেই অভ্যস্ত নয়। নির্বাচনকে গ্রহণ করার প্রবণতার বিপরীতে চলে দলটি। এটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। স্মরণ করা যেতে পারে, এ দলের প্রতিষ্ঠাতার আমলে প্রেসিডেন্ট এবং সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে ক্ষমতায় যাওয়া অথবা হারানোার সংশ্রব ছিল না। বরং দলটি তখন ক্ষমতায়। এরপর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখলের পরও নির্বাচন থেকে দূরে থেকেছে বিএনপি। এরশাদের আমলে দুটি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ’৮৬ সালের নির্বাচনটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নিলেও শেষতক যায়নি বিএনপি। নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে দুই প্রধান বিরোধী দলের সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যায় বিএনপি। আর ’৮৮ সালের নির্বাচনে আ স ম রবের নেতৃত্বে রাজনীতির কতিপয় আবর্জনা অংশ নিলেও আওয়ামী লীগ-বিএনপি যায়নি। ফলে এ নির্বাচন কোনোরকম গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর ’৯১-এর নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপিসহ সব দল। এ নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হয়। এটি সাদা চোখে দেখা খবর। কিন্তু নেপথ্যের খবর অনেক পরে জানা গেছে, ব্লুপ্রিন্টের আওতায় ক্ষমতার মসনদ নিশ্চিত করেই ’৯১-এর নির্বাচনে শরিক হয়েছিল বিএনপি। বিএনপি সরকার মেয়াদ শেষের দিকে যখন দেখল নির্বাচনে আর মসনদ মিলবে না, তখন এরশাদের ’৮৮ সালের তরিকাকেও হার মানিয়ে ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি মহা কেলেঙ্কারির নির্বাচন করল বিএনপি। কিন্তু এ নির্বাচন বিএনপিকে ক্ষমতার মসনদে রাখার বদলে বড় ধরনের বিপদে ফেলে দিল। অনিবার্য হয়ে পড়ল ’৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচন। এ নির্বাচনে ২১ বছর পর ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ। প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। নির্বাচনি প্রচারণায় অনেক নমনীয় হয়ে ভোট প্রার্থনা করেছে আওয়ামী লীগ। দলীয়প্রধান নির্বাচনি প্রচারণায় বলেছেন, ‘ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেশ ও জাতিকে সেবা করার সুযোগ দিন।’ আকুল আকুতি-মিনতি করে নির্বাচনি বৈতরণী পার এবং এরশাদের দল জাতীয় পার্টির সহায়তা নিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসে শেখ হাসিনা সরকার। কিন্তু এ সরকার ছিল খুবই দুর্বল। এটিকে প্রকৃত অর্থে ক্ষমতায় আরোহণ না বলে ‘ক্ষমতায় আশ্রয় গ্রহণ’ বলাই অধিকতর বাস্তবসম্মত। এ সিংহাসন ছিল খুবই টলটলায়মান। এরপরও কোনোরকম মেয়াদ শেষ করতে পেরেছে শেখ হাসিনার প্রথম সরকার।

মেয়াদ শেষে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো একটি নির্বাচিত সরকার হিসেবে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করে সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব অর্পণ করতে পেরে আমি আনন্দিত।’ কিন্তু তাঁর এ আনন্দ বিষাদে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি। কারণ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল বিএনপির নেপথ্য মুরুব্বিদের আরেক ফাঁদ। বিষয়টি টের পেয়ে নির্বাচনি প্রচারণাকালেই আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছিলেন- ‘বিএনপি যা বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাই করে।’ কিন্তু সেই সময় কার অভিযোগ কে শোনে! শোনার কথাও নয়। কারণ সবকিছুরই একটি টাইম ফ্রেম থাকে এবং ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্লুপ্রিন্ট অনুসারে বিজয়ী হয় বিএনপি এবং যথারীতি হেরে যায় আওয়ামী লীগ।

২০০১ সালে নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও পরের নির্বাচনে আস্থা রাখতে পারেনি বিএনপি। ফলে পুনরায় পুরনো তরিকায় হাঁটতে শুরু করে। সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে। আরেকজন লতিফুর রহমান খোঁজার চেষ্টা। ব্লুুপ্রিন্ট স্পষ্ট, নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া। ’৭৯ সালে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের অধীনে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও খালেদার ফাঁদে আর পা দেয়নি আওয়ামী লীগ। তীব্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাজনীতিতে তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করে। বিবদমান দুই বাঁদরের পিঠা শিয়ালের হাতে চলে যাওয়ার গল্পের আদলে প্রতিষ্ঠিত হয় সামরিক বাহিনী সমর্থিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এবার দুই মেরুর আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই নেত্রী একই সঙ্গে মাইনাস ফর্মুলার টার্গেট হন। কিন্তু এ প্রয়াস ফলপ্রসূ হয়নি। বরং দুই বছরের মাথায় ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ প্রবচনকে ধ্যানজ্ঞান করে ‘নিরাপদ নির্গমনের’ পথ গ্রহণ করে ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিন সরকার। এজন্য আয়োজন করা হয় ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচন। এবারও জন্মকালীন প্রবণতায় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের নীতি গ্রহণ করেছিল বিএনপি। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে চাপ বাড়তে থাকে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে খালেদা জিয়া শর্ত দেন, দুই ছেলে তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমানের মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠাতে হবে। এ নিয়ে তীব্র দরকষাকষি চলে দীর্ঘ সময়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের সমঝোতা হয়। হাইড্রোলিক প্রেসারে পড়ে নির্বাচনে আসে বিএনপি। এদিকে রটিয়ে দেওয়া হয়, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গেছে বিএনপির। কিন্তু আসলে তা হয়নি। সেই সময়ের ক্ষমতা দলখকারী চক্র দুই নেত্রীকে মাইনাস করার জন্য যা কিছু করেছে তাতে বিএনপির সঙ্গে একটু বেশিই হয়েছে, বিশেষ করে তারেক রহমানের সঙ্গে। ফলে মন্দের ভালো হিসেবে আওয়ামী লীগকে অধিকতর বিশ্বস্ত ও নিরাপদ মনে করা হয়েছে সেই সময়ের বাস্তবতায়। এটি ছিল গোপন বিষয়। আবার ওপেন সিক্রেট ছিল- স্বেচ্ছায় নয়, চাপে পড়ে নির্বাচনে শামিল বিএনপি। ফলে নির্বাচনি প্রস্তুতিতে বেশ ঘাটতি ছিল দলটির। এদিকে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। প্রার্থী বাছাই, জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি- সবকিছুর ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ছিল বেশ গোছালো। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পায় ২৩০, বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। ফলে বিএনপি বড় ধরনের হোঁচট খায়। এ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয় বিএনপির তরফ থেকে। বিশ্লেষকদের মতে, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরই ক্ষমতার শতভাগ গ্যারান্টি ছাড়া নির্বাচন থেকে দূরে থাকার কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। প্রবচনের ন্যাড়া যেমন বেলতলায় একবারের বেশি যায় না তেমনই এ দলটি ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে দলের রেজিস্ট্রেশন টিকিয়ে রাখার বাধ্যবাধকতায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে হয়েছে মনোনয়নবাণিজ্য এবং নির্বাচনকে খেলো প্রমাণ করাই ছিল বিএনপির লক্ষ্য। এরপরও জোটে ৬টি আসন। এর মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে শপথ নিতে দেওয়া হয়নি। আবার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দলীয় সবে ধন নীলমণিদের পদত্যাগ করানো হয়। এরপর আসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। যা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৭ জানুয়ারি। বাস্তবতার আলোকে পরপর দুটি নির্বাচনের তুলনায় এ নির্বাচন ছিল বিএনপির জন্য সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক। দ্রব্যমূল্যের অরাজকতা, লাগামহীন দুর্নীতির ঘটনা ও রটনা, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বেপরোয়া আচরণ এবং নানান সংকটে সরকার ছিল লেজেগোবরে। এরপরও বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। বরং দলটি বলপ্রয়োগে সরকারকে ফেলে দেওয়ার ধনুক ভাঙা পণে অটল থাকে। এই হচ্ছে নির্বাচনের আগেই বিজয় নিশ্চিত করার একটি সনাতনী কৌশল। যা কার্যকারিতা হারিয়েছে অনেক আগে। এ অবস্থায় আসে ২৮ অক্টোবর। এদিন বিএনপি নিজের নাকি সরকারের ফাঁদে ধরা পড়েছে তা বলা কঠিন। তবে এটি সহজে বোধগম্য- ফাঁদে আটকেছে বিএনপি, আর টপকে গেছে আওয়ামী লীগ এবং চরম বৈরী অবস্থায় পড়েছে বিএনপি। এরপরও ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি এলে আওয়ামী লীগের যে কী দশা হতো তা তো আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়জয়কার থেকে অনেকটা অনুমান করা চলে। কিন্তু এখনো বাতিকগ্রস্ত মানুষের মতো বিএনপি বলেই যাচ্ছে, ‘সরকারের পতন ঘটবে!’ হায় ভবিত্য! কে কাকে বোঝাবে, পালে জোর হাওয়ায় নৌকা তীর ছেড়ে গেলে কূলে বসে তাকে আর ঘায়েল করা যায় না।  এর জন্য নৌকা আবার তীরে ভেড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আর নির্বাচনি তরণীর জন্য বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত আরও পাঁচ বছর।  এদিকে আওয়ামী লীগের জন্য বজ্রপাতের মতো কোনো ঘটনা ঘটলেও তাতে খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপির ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ার সম্ভাবনা সোনার পাথর বাটি। অথবা কাকের ঠোঁটের মাংসপি- শিয়ালের গ্রাসে যাওয়ার বাস্তবতা!

                লেখক :  জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

সর্বশেষ খবর