রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বেড়েছে চালের দাম

বাজার নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। মজুতদারদের কারসাজিতে ভোক্তাদের প্রতি বস্তা চাল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। প্রতি বছর এ সময়ে চালের দাম থাকে নিম্নমুখী। মজুতদার ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে বর্তমানে তা হচ্ছে ঠিক উল্টো। গত কয়েকদিনে বস্তাপ্রতি চালের দাম পাইকারি বাজারে বেড়েছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। করপোরেট হাউস ও বড় বড় মিল মালিক ধান-চাল মজুত করছে এমন অভিযোগ পাইকারি চাল ব্যবসায়ীদের। মজুত ও সরবরাহ চেইন বিঘ্ন হওয়ায় চালের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ক্যাবের মতে, গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশের প্রশাসন ও জনগণ ছিল নির্বাচনমুখী। নির্বাচনের ব্যস্ততার কারণে প্রশাসন দ্রব্যমূল্য মনিটরিংয়ে খুব একটা নজর দিতে পারেনি। এ সুযোগে অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে। বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে এ বছর ফসল উৎপাদনও হয়েছে ভালো। দেশের শস্যভান্ডার-খ্যাত নওগাঁয় ভরা মৌসুমেই বেড়েছে চালের দাম। করপোরেট কোম্পানি, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এবং বড় মিল মালিকদের অতিরিক্ত মজুতের কারণে নওগাঁয় হঠাৎ করে এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩-৪ টাকা। দাম স্থিতিশীল রাখতে গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত রাখার অভিযোগে ১৫ প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একটি গুদাম সিলগালা করাও হয়েছে। চালের দাম নিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, দেশের ধান ও চাল উৎপাদনকারী  জেলাগুলোতে করপোরেট কোম্পানিগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ইচ্ছামতো দাম কমায়-বাড়ায়। প্রশাসনের তদারকি অব্যাহত রাখলে ধান-চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। খাদ্যপণ্য বিশেষ করে চাল, আটা ভোজ্য তেল, ডাল ইত্যাদির দাম ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকা না থাকার ওপর সরকারের জনপ্রিয়তা নির্ভরশীল। বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের মধ্যে ১৩ বছর বাজার নিয়ন্ত্রণে তারা অনন্য সাফল্য দেখিয়েছে। গত দুই বছরে লাগামহীনভাবে মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। নতুন সরকারকে এ ব্যাপারে তৎপর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর