মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রপ্তানি বহুমুখীকরণ

খুঁজতে হবে নতুন নতুন বাজার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রপ্তানি বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, একটি-দুটি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকলে চলবে না। নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। রবিবার রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচল নিউ টাউনে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে মাসব্যাপী ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি আয় বাড়াতে তৈরি পোশাকের মতো পাট ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য এবং হস্তশিল্পসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যে একই গুরুত্ব দিতে হবে। রপ্তানির জন্য একটি বা দুটি পণ্যের ওপর নির্ভর করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সারা বাংলাদেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে এবং যে অঞ্চলে যে পণ্য ভালো হয়, সেখানে সেই শিল্প গড়ে উঠবে। সেবা খাতেও আমাদের যথেষ্ট সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে ও ভালো সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ খাতে রপ্তানি আয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছে এবং আইসিটি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার বিশাল সুযোগ সামনে রয়ে গেছে। আইটি খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয় ২৭.৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরা বিদেশেও রপ্তানি করতে পারছি। যদিও বিশ্বমন্দার অভিঘাতে ইউরোপ-আমেরিকার অনেক উন্নত দেশেও পণ্য চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। সেটা মাথায় রেখে নতুন বাজার আমাদের খুঁজতে হবে, নতুন জায়গায় যেতে হবে। ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যের দাবিদার। আজকের যুগ হলো ব্যবসা বাণিজ্যের যুগ। জাতীয় উন্নয়নের এটিই সোজাসাপটা পথ। বাংলাদেশের গত দেড় দশকে নজরকাড়া উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে ব্যবসাবাণিজ্যের বদৌলতে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রপ্তানি যেমন বাড়াতে হবে তেমন রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। গুটিকয় পণ্যের ওপর নির্ভরতার বদলে বিদেশে কোন কোন পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সে নিরিখে উদ্যোগ নিতে হবে। নিত্যনতুন বাজার সম্প্রসারণে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর