মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাতালরেল

যানজট নিরসনে অবদান রাখবে

যানজটের নগরী ঢাকাকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ঢাকার পাঁচটি রুটে পাতালরেল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ রুটগুলোর মধ্যে মেট্রোরেলের লাইন-১ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রুটে ১৯.৮৭ কিলোমিটার পাতাল পথে চলবে। এ লাইনের মূল কাজ শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। ডিপো নির্মাণের কাজ এখন চলছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা অনুযায়ী- দুই বছর পর ২০২৬ সালের শেষে খুলবে বিমানবন্দর-পিতলগঞ্জ রুট। লাইন-১ এর পাতাল রুট সরাসরি যুক্ত হবে থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণতা দিতে ইতোমধ্যে পাতালরেলের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের লাইন-১, ২, ৪ ও ৫-এর নর্দার্ন ও সাউদার্নসহ সব রুটই হবে উড়াল এবং পাতাল। এতে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকাকে নিয়ে যাওয়া হবে অত্যাধুনিক নগরীর রূপে। ইতোমধ্যে মেট্রোরেল লাইন-৬ উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরোদমে চালু হয়েছে। ট্রেনের সময়সূচিও বাড়িয়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। আসন্ন বইমেলা ও শুরু হওয়া বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে সময়সূচি আরও বাড়ানো হতে পারে। মেট্রোরেল লাইন-৬ এর সুবিধা ইতোমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে নগরবাসী। বিশেষ করে উত্তরা, মিরপুর, মতিঝিল ও ফার্মগেট এলাকার অধিবাসী এবং অফিসগামীরা ব্যক্তিগত গাড়ি ও পাবলিক বাস ছেড়ে মেট্রোরেলে যাতায়াত শুরু করেছে। এতে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য, কমেছে সময়ের দূরত্ব। মুক্তি পেয়েছে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি থেকে। ঢাকা এখন বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতির নগরী। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই মহানগরীর যোগাযোগব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাস্তব কারণেই রাজধানীতে নতুন রাস্তা করাও কঠিন। পাতাল রেলপথ যানজট নিরসনে কার্যকর অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

সর্বশেষ খবর