বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে

সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিন

দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ক্রমেই নাজুক হয়ে উঠছে বাড়তি যানবাহনের চাপে। এ মহাসড়কের ওপর দিয়ে দেশের আমদানি-রপ্তানির ৮৫ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয়। কিন্তু ২৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ক প্রয়োজনের তুলনায় সম্প্রসারণ না হওয়ায় যানজট অনিবার্য হয়ে উঠছে। যত্রতত্র হাটবাজার, ধীরগতির যান চলাচল, অপরিকল্পিত ইউটার্নসহ নানা অব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটি তার কার্যকরিতা হারাচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য আমদানি-রপ্তানি। নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সময় ও জ্বালানি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে দ্রুত সময়ের মধ্যে আট লেনে উন্নীতকরণ এবং ডেডিকেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের জিডিপির ৫০ শতাংশই ঢাকা ও চট্টগ্রাম ঘিরে আবর্তিত। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকেন্দ্রিক নানা উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে এ মহাসড়কের ওপর চাপ ও এর গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। অথচ যত্রতত্র সড়ক দখল, অবৈধ হাটবাজারের কারণে মহাসড়কের বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে সড়কটি। মহাসড়কের ২৫৬ কিলোমিটারের দুই পাশে বাজার রয়েছে ২৭টি। এর মধ্যে ১০টির অধিক বাজারে যানজট নিত্যসঙ্গী। ওই বাজারগুলোয় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার ভিড় লেগেই থাকে। বাজার এলাকায় ট্রাক, ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা এবং লোকজনের মহাসড়কের ওপর দিয়ে চলাচলের কারণে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িগুলোর গতি নামিয়ে আনতে হয় ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটারে। এর চাপ পড়ে মহাসড়কজুড়ে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ওভার পাস কিংবা আন্ডারপাস নেই। যা যানজট বৃদ্ধিতে মদদ জোগাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির পাইপলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্ব দিনকে দিন বাড়ছে। মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গুরুত্ব বাড়বে বহুগুণ। তাই এই সড়কে আলাদা কন্ট্রোল এক্সসেস এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি এখন সময়ের দাবি। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ককে যানজটমুক্ত করতে দেশের নীতিনির্ধারকদের এখন থেকেই উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি মহাসড়ককে গ্রামীণ সড়কের বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা করতে ধীরগতির যানবাহন চলাচলে বাদ সাধতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর