শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অবৈধ ইটভাটা

উচ্ছেদের উদ্যোগ সফল হোক

বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বায়ুদূষণের দেশ। রাজধানী ঢাকা বায়ুদূষণের শিরোপা অর্জন করছে প্রায় প্রতি মাসে। নদনদী হাওর-বাঁওড় আর সবুজ বৃক্ষরাজির এই দেশের বায়ু নির্মল থাকার কথা থাকলেও ঘটছে তার উল্টো। এই বৈপরীত্যের অবসানে সরকার দেরিতে হলেও মাথা ঘামাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বায়ুদূষণ কমাতে ১০০ দিনের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকার চারপাশের ৫০০ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করার কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, রাজধানীতে খোলা ট্রাকে করে বালু, সিমেন্ট বহন করলেও জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হবে। ঢেকে না রেখে নতুন ভবন নির্মাণ করলে বাড়বে জরিমানার পরিমাণ। বায়ুদূষণ বন্ধে সদিচ্ছার ওপর জোর দিয়েছেন মন্ত্রী। বলেছেন, যারা বায়ুদূষণের জন্য দায়ী তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয়। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৩০০-এর ওপরে থাকলে ক্ষতিকর, যা আমাদের দেশে সেটা অনেক আগেই অতিক্রম হয়েছে। আমরা প্রথমে বায়ুদূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করছি। আদালতের হিসাবে ২ হাজারের মতো অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। প্রথমে ঢাকার আশপাশেরগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। ১০০ কর্মদিবসের লক্ষ্য হচ্ছে ওই সময়ের মধ্যে ৫০০ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া। ঢাকার চারপাশে ১ হাজার অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। মন্ত্রীর ভাষ্য, অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের যে সূচনা তারা করতে যাচ্ছেন, তার মাধ্যমে অবৈধ ইটভাটা যে রাখা হবে না সে বার্তাই দেওয়া হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণে চারপাশের প্রায় ১ হাজার অবৈধ ইটভাটার কালো ধোঁয়া যে ভূমিকা রাখছে, তা ওপেন সিক্রেট। এগুলো উচ্ছেদের পরিকল্পনা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। এ বিষয়ে সরকারকে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিতে হবে। বায়ুদূষণকারী ইটভাটা উচ্ছেদের পাশাপাশি নির্মাণকাজে ইটের চাহিদা পূরণে সিমেন্ট ও বালুর সংমিশ্রণে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ইট তৈরির উদ্যোগও জোরদার করা দরকার। অবৈধ ইটভাটার ব্যাপারে সরকারকে অবশ্যই জিরো টলারেন্স অবস্থানে যেতে হবে। পরিবেশমন্ত্রী বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু করেছেন, তা সফল হোক আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর