শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ছয় মেগা প্রকল্প

এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে

বাঙালি জাতির ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। এক সময় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, বুড়িগঙ্গা পাড়ের মানুষের বন্দনা ধ্বনিত হতো বিশ্বজুড়ে। ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা এ দেশের সমৃদ্ধি নিয়ে গর্ব করা হতো। বাঙালির বীরত্বের কথা জানত গ্রিক ও রোমের মানুষ। বাঙালির এ সুদিন চাপা পড়ল বিদেশি আধিপত্যে। শত শত বছরের বিদেশি ঔপনিবেশিক শাসন এগিয়ে থাকা এ জাতিকে ক্রমাগতভাবে পিছিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার পর বাঙালির যে নতুন যাত্রা শুরু হয় তা সাড়ে তিন বছরের মাথায় মুখ থুবড়ে পড়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড এবং অবৈধ সেনাপতি শাসকদের উত্থানে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর সে দুঃসময়ের অবসান ঘটে। গত ১৫ বছর ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সুবাদে দেশ এগিয়ে চলছে সামনের দিকে। যোগাযোগ অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের জন্য যুগান্তকারী বছর ছিল ২০২৩। বিশ্ব অর্থনীতিতে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিয়ে অবারিত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে একের পর এক মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন। এ বছরও উদ্বোধনের তালিকায় আছে ছয়টি মেগা প্রকল্প। এগুলো হলো- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যমুনা বঙ্গবন্ধু রেলসেতু, ডিপেন্ডেবল রানওয়ে, গাজীপুরের বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাকি অংশ। ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দিয়ে বিশ্বের ৩৩তম দেশ হিসেবে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের এলিট ক্লাবে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক ও বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে। বগুড়া ও গোপালগঞ্জে ৪০০ কেভির দুটি এবং বাঘাবাড়ীর ২৩০ কেভির একটি সঞ্চালন লাইন হয়ে এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের মাতারবাড়ীতে করা হয়েছে ১২০০ মেগাওয়াট ধারণক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ মেগা প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৫১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। রূপপুরসহ বড় ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর সুবাদে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা করা যায়। অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে স্বাচ্ছন্দ্য। এক নতুন বাংলাদেশকে দেখতে পাবে বিশ্ব সমাজ। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর