রবিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ট্রেনের টিকিট

কালোবাজারিদের দমন করুন

ট্রেনের টিকিট নিয়ে চলছে বেপরোয়া কালোবাজারি। বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ স্বাধীনতার পর থেকেই রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানকে লুটপাটের অভয়ারণ্য বানাতে ব্যস্ত। তাদের কসরতে শুধু লোকসানের ঘানিই টানছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একসময় বিনা টিকিটে রেল কর্মচারীদের টাকা দিয়ে চলাচল করত প্রায় অর্ধেক যাত্রী। সম্প্রতি এ বিষয়ে কিছুটা কড়াকড়ি হলেও বেসামালভাবে চলছে টিকিট কালোবাজারি। বৃহস্পতিবার ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তাদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধভাবে সংগ্রহ করা ট্রেনের ১ হাজার ২২৪টি টিকিটসহ নগদ ২০ হাজার টাকা। র‌্যাব বলছে, রেলস্টেশনে কর্মরত অসাধু কর্মচারী, সহজ ডটকমের অসাধু কর্মকর্তা, সার্ভার রুম ও আইটি সদস্যদের সহযোগিতায় ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করতেন এরা। প্রতিদিন ৫ শতাধিক টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে সংগ্রহের পর বেশি দামে বিক্রি করতেন। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তাদের নেতৃত্বে এ চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশীথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। এরা রেলস্টেশনের কুলি, আশপাশ এলাকার টোকাই, রিকশাওয়ালা ও দিনমজুরদের প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করত। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে চারটি করে টিকিট সংগ্রহের বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো। টিকিট কালোবাজারিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত টিকিট বুকিং কর্মচারীরা। তারা টিকিট কাটার সময় যাত্রীদের দেওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করে পরে তা ব্যবহার করে টিকিট সংগ্রহ করে কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করত। রেলওয়েকে দুর্নীতিমুক্ত করতে টিকিট কালোবাজারিদের কঠোরভাবে দমন করা হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর