শিরোনাম
সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মাদক আগ্রাসন

চাই পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিরোধ

মাদকের বিরুদ্ধে সরকার, প্রশাসন, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারীদের ঘোষিত জিরো টলারেন্সের কথা হরহামেশাই শুনে আসছে দেশের মানুষ। তারপরও মাদকের আগ্রাসন ক্রমেই বাড়ছে। কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না এই দৈত্যকে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সীমান্ত এলাকার ১৫৮টি পয়েন্ট দিয়ে মাদক আসছে। এ পয়েন্টগুলো দিয়ে আসা ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ, কোকেন, ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদক ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এরই মধ্যে চিহ্নিত পয়েন্টগুলোতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তাদের মতে, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সীমান্ত এলাকার দেড় শতাধিক পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েক দশকে মাদকের প্রবেশদ্বারে পরিণত হয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৮ উপজেলা। এর মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার এবং বান্দরবান দিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস ও কোকেন। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী এবং খাগড়াছড়ি জেলার পয়েন্টগুলো দিয়ে আসছে গাঁজা, ফেনসিডিল, এসকফ সিরাপ ও বিদেশি মদ। ইয়াবা, কোকেন ও আইস প্রবেশের পয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে টেকনাফ উপজেলার চাকমারকুলের বিভিন্ন এলাকা। মাদকের কারণে সামাজিক মূল্যবোধ ধসে পড়ছে। মাদকসেবীরা প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশেও চলে প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণের অপকর্ম। মাদকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের সব হুঁশিয়ারি বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরোতে পরিণত হচ্ছে। বিষ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। মাদকের আগ্রাসন রুখতে পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে সবার আগে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা যাতে দেশ ও জাতির বদলে মাদক ব্যবসায়ীদের সেবাদাসে পরিণত না হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা দরকার।

সর্বশেষ খবর