মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাখাইনে সংঘাত

বিজিবিকে সতর্ক থাকতে হবে

বিদ্রোহ কবলিত মিয়ানমারের বাংলাদেশ লাগোয়া রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। রাখাইন বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলছে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ। এ গৃহযুদ্ধে সে দেশের বেশকিছু এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে। মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ সে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের বলার কিছু নেই। তবে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর যুদ্ধের আঁচ বাংলাদেশেও অনুভূত হচ্ছে। দুই পক্ষের গোলাগুলি এসে পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও। মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড সম্প্রতি মিয়ানমার বাহিনীকে হটিয়ে রাখাইনের বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। মিয়ানমার বাহিনী এখন স্থল এলাকা থেকে কামান ও মেশিনগানের গোলাবর্ষণ ছাড়াও বিমান ও হেলিকপ্টার থেকে হাতছাড়া হওয়া এলাকায় অনবরত বোমাবর্ষণ করছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন এবং তারা প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছেন। এ কারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এবং নাফ নদ এলাকায় বিজিবি সর্বাত্মক সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। রাখাইনে বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশ অংশে গোলা ছুটে আসায় আতঙ্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে মিয়ানমার থেকে আবার রোহিঙ্গাদের ঢল বাংলাদেশে এসে পড়ে কি না তা নিয়ে। মিয়ানমারে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। অতি সম্প্রতি সে দেশের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূলে মনোভাব দেখালেও রাখাইনে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে শরণার্থীরা দেশে ফিরতে রাজি হবে কি না সংশয় দেখা দিয়েছে। আমরা আশা করব মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধে সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনী সতর্কাবস্থায় থাকবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর