শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

একুশে গ্রন্থমেলা

বাঙালির প্রাণের মেলা

বাঙালির প্রাণের মেলা একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪ উদ্বোধন করা হয়েছে ভাষা আন্দোলনের রক্তস্নাত মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গ্রন্থমেলা উদ্বোধনকালে শুধু কাগজের নয়, ডিজিটাল প্রকাশনার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। বলেছেন, আমাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি সব কিছু এগিয়ে নিতে হলে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। প্রকাশকদের শুধু কাগজের নয়, ডিজিটাল প্রকাশক হতে হবে। এর ফলে শুধু আমাদের দেশে নয়, বিদেশেও সবার কাছে তা পৌঁছবে। প্রধানমন্ত্রী গ্রন্থমেলা উদ্বোধনের আগে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ১১ ক্যাটাগরিতে ১৬ জনকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ তুলে দেন। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য- ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। সব মিলিয়ে বরাবরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে মেলার আয়োজন। এবারের মেলায় ৬৩৫ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে ৯৩৭টি ইউনিট। এবার প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭৬৪ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে ৫১৫ প্রতিষ্ঠান। প্রতি কর্মদিবসে বইমেলা বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সরকারি ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে। একুশের গ্রন্থমেলা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল প্রকাশনার ওপর যে গুরুত্বারোপ করেছেন তা বিশেষ তাৎপর্যের দাবিদার। দুনিয়াজুড়ে ডিজিটাল প্রকাশনার বিকাশ ঘটছে। বাংলাদেশ সেদিক থেকে পিছিয়ে। প্রকাশকরা কাগজের পাশাপাশি ডিজিটালের ক্ষেত্রে এগিয়ে এলে সৃজনশীল অনেক সাহিত্য ও গবেষণাকর্মের প্রকাশ ঘটবে। জ্ঞান বিকাশেও তা অবদান রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর