সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের সংবর্ধনায়-

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের সংবর্ধনায়-

প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন তাদের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ৩ নম্বর হলে জাঁকজমকপূর্ণ সংবর্ধনার আয়োজন করে। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস ২৬ জানুয়ারি হলেও ঢাকায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় ২৪ জানুয়ারি বুধবার। সময় ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। আমি সোয়া ৬টায় পৌঁছে দেখি ৩০০ ফুটের মূল সড়ক থেকে পিঁপড়ার মতো লাইন ধরে গাড়ি ঢুকছে। দেখলাম আমার সামনে দক্ষিণ কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতের গাড়ি। যথা স্থানে গাড়ি থেকে নামতেই দেখি অভ্যর্থনা জানানোর জন্য হাইকমিশনের কর্মকর্তারা দাঁড়িয়ে আছেন। একটু এগোতেই দেখি হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও মিসেস মানু ভার্মা দাঁড়িয়ে আছেন। সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছেন এবং কুশলবিনিময় করছেন। কিছু সময়ের মধ্যে হল পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, এমপি, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা ঢাকার অন্যান্য বিদেশি মিশনের কূটনীতিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষসহ সব শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ সব মানুষের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত পরিবেশে সবাই পারস্পরিক কুশলবিনিময় ও আলাপচারিতার আনন্দমুখর ভঙ্গিমায় একটু পরপর টেবিলে সাজানো নানা পদের জুস, আবার কেউ কেউ পছন্দমতো পানীয়তে চুমুক দিচ্ছেন।

পরিবেশনকারীরা বিভিন্ন পদের স্ন্যাকস নিয়ে একজনের থেকে অন্যজনের সামনে তুলে ধরছেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এলেই সংবর্ধনার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রথমে খুবই সংক্ষিপ্তভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথার সঙ্গে সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানালেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অসাধারণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন এবং বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক এখন আবার একাত্তর-বাহাত্তরের পর্যায়ে উঠেছে। প্রজাতন্ত্র দিবস সব দেশেই ভারতীয় সব দূতাবাস প্রতি বছর পালন করে। তবে অন্যান্য দেশের রাজধানীতে তা পালন করা আর ঢাকায় সেটি পালন করার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। দুই দেশের বন্ধন ও সম্পর্কের যে বহুমাত্রিকতা সেটি ভারত বা বাংলাদেশের কারও সঙ্গেই অন্য কোনো দেশের নেই। ভৌগোলিকতা, রাজনৈতিক ইতিহাস, নৃতাত্ত্বিকতা, ভাষা ও সাংস্কৃতিক অভিন্নতার সঙ্গে একাত্তরে রক্তে লেখা অমর বন্ধুত্বের সৃষ্টি, যেটি আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের মাঠে স্বচক্ষে দেখেছি। প্রায় ১০ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ভারতে বাস করে। খাওয়া-দাওয়া, গল্প-উপন্যাস, গান, সিনেমা, নাটক ইত্যাদি দুই বাংলার মানুষকে ওতপ্রোতভাবে প্রকৃতিই একের সঙ্গে অপরকে গেঁথে রেখেছে। চরম ভ্রান্তিমূলক তথাকথিত দ্বিজাতিতত্ত্বের অভিশাপে সাতচল্লিশে রাজনৈতিকভাবে দুই বাংলার মধ্যে সীমানা টেনে দেওয়া হলেও মনের মধ্যে কখনো সীমানা টানা সম্ভব হয়নি। সেটি আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সময় পশ্চিম বাংলায় দেখেছি। দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে লিখতে গেলে এখন শুধু নয়, অনাদিকাল ধরে একাত্তরের কথাই সর্বপ্রথম আসবে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ৩১ মার্চ ভারতের পার্লামেন্টে পাস হয় এক নজিরবিহীন প্রস্তাব। তাতে বলা হয়, আমরা সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি পূর্ব বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষের উত্থান ও সংগ্রাম অবশ্যই জয়ী হবে। পূর্ব বাংলার জনমানুষকে এই মর্মে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে, তাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রতি ভারতীয় জনগণের সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা থাকবে। এই প্রস্তাবের হুবহু বাস্তবায়ন আমরা যুদ্ধের পুরো ৯ মাস প্রত্যক্ষ করেছি। ১ কোটি শরণার্থীর সব দায়িত্ব গ্রহণসহ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র-গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে তা শুধু নয়, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ভঙ্গের দায় বহনের ঝুঁকি নিয়েও সীমান্তবর্তী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সব অপারেশনে মার্চ-এপ্রিল থেকেই সামরিক সমর্থন প্রদান করেছে। তখন বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির সমীকরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে। অসাধারণ ধীশক্তি ও দূরদৃষ্টির অধিকারী তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অনুধাবন করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চূড়ান্ত ও পরিপূর্ণ বিজয় অর্জন করতে হলে চীন-মার্কিন অক্ষের বিপরীতে ভারসাম্য তৈরির জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নকে সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ৯ আগস্ট ভারত-সোভিয়েত ইউনিয়ন ২০ বছর মেয়াদি মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা হয়, দুই পক্ষের কেউ আক্রান্ত হলে অথবা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সেই আশঙ্কা নিবারণ করার উদ্দেশ্যে উভয় পক্ষ অতিসত্বর আলোচনা করে সম্মিলিতভাবে নিজেদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই চুক্তির কারণে ডিসেম্বর মাসে যুদ্ধের শেষ প্রান্তে পাকিস্তান ও আমেরিকা অনেক চেষ্টা করেও চীনকে যুদ্ধে নামাতে পারেনি এবং জাতিসংঘে চারবার ভেটো দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ঠেকিয়ে রাখার ফলে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। চূড়ান্ত সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী একাত্তরের ২৪ অক্টোবর প্রায় তিন সপ্তাহের লম্বা সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিম ইউরোপ সফর করেন। দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, ১৫ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে, বিশ্বের কোনো শক্তিই তা ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না (সূত্র : দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস, ১৬ নভেম্বর ১৯৭১)। ৩ ডিসেম্বর শুরু হয় সর্বাত্মক যুদ্ধ। ৬ ডিসেম্বরে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, যে দিবসটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস। গত ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় হাইকমিশন ঢাকাতে মৈত্রী দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করেছে। একাত্তরের যুদ্ধের মাঠে ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত মিলেমিশে বাংলাদেশের মাটিতে ঝরেছে। মাটির সঙ্গে মিশে আছে। তাই দুই দেশের সম্পর্ক আসলেই রক্তে লেখা। এক দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বন্ধুরাষ্ট্রের সমর্থন ও সহযোগিতার উদাহরণ আছে অনেক। কিন্তু এমন উদাহরণ নেই, যেখানে বন্ধুরাষ্ট্রের নিজস্ব সেনাবাহিনী সরাসরি সামরিক অভিযানে অংশ নিয়েছে এবং রক্ত দিয়েছে, যেটি ভারত করেছে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তখনো পাকিস্তানের কারাগারে। সদ্য অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা ও সেটিকে সুসংহত করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উপস্থিতি ছিল অপরিহার্যের চেয়েও অপরিহার্য। তাই বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সারা বিশ্বে কার্যকর কূটনৈতিক তৎপরতা চালান এবং পাকিস্তানের সঙ্গেও আপস-রফা করেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ফিরে আসেন। পশ্চিম ফ্রন্টে দখল করা প্রায় ৫ হাজার বর্গমাইল এলাকা পাকিস্তানকে ছেড়ে দেয় ভারত এবং যুদ্ধবন্দিদের ফেরত পাঠায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সুসংহত করার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় পদক্ষেপ ছিল, মাত্র সাড়ে তিন মাসের মাথায় বাহাত্তরের মার্চ মাসে মিত্রবাহিনী হিসেবে আসা ভারতের সব সেনা ফেরত চলে যায়। তৃতীয়ত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সুসংহত ও উভয় দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করার জন্য ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় ২৫ বছর মেয়াদি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি। চুক্তিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে মোট ১২টি অনুচ্ছেদ ছিল। চুক্তিটি পড়লে যে কেউ বুঝতে পারবেন কতখানি পারস্পরিক মর্যাদা ও শ্রদ্ধা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুটি দেশ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিপুল সম্ভাবনাময় নতুন যাত্রা শুরু করেছিল। ১৯৭৫ সালে যদি বঙ্গবন্ধু নিহত না হতেন তাহলে ধাপে ধাপে এই চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ শুধু নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার চিত্রটিই বদলে যেত, নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হতো এবং এই অঞ্চল হতে পারত বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী ভাইব্রাল্ট অর্থনৈতিক ব্লক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ান থেকেও সেটা হতো অনেক শক্তিশালী জোট। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর সবকিছু উল্টো দিকে ধাবিত হয়। সেই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তার সব জৌলুস হারায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মেয়ে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের এ সময়ের ক্যারিশমেটিক জনপ্রিয় লিডার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যৌথ উদ্যোগ ও দূরদৃষ্টির ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আবার একাত্তর-বাহাত্তর পর্যায়ে উঠেছে। গত ১৫ বছর দুই দেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় উঠেছে সেটি এখন বিশ্ব অঙ্গনে প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কের একটা উদাহরণ। ভারতের সব রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের গুরুত্ব কতখানি উপলব্ধি করে তার একটা প্রতিফলন দেখা যায় ২০১৫ সালে যখন স্থলসীমান্ত চিহ্নিতকরণ ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি দুটি ভারতের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সম্মিলিত অধিবেশনে পাস হয়। যেখানে একজন সদস্যও প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেননি, শতভাগ হ্যাঁ ভোট পড়ে। সত্যিই নজিরবিহীন উদাহরণ। ওড়িশা রাজ্যের একজন অবাঙালি সদস্য সেদিন প্রস্তাবের পক্ষে বক্তৃতার সময় বাংলায় গেয়েছিলেন সেই গানটি, শোন একটি মুজিবের কণ্ঠ থেকে লক্ষ মুজিবের কণ্ঠস্বর...।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় সিদ্ধান্তের কারণে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বাংলাদেশের মাটি থেকে সমূলে উৎখাত করা হয়েছে। দুই দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনগণ, বিশ্লেষকসহ সবাই এখন উপলব্ধি করেন ভৌগোলিক অবস্থান ও ঐতিহাসিক লেগেসির সূত্রে উভয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখন্ডতা রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য একের সঙ্গে অপরের সহযোগিতা একান্ত অপরিহার্য। এর কোনো বিকল্প নেই। এজন্যই ঢাকায় যখন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয়, তখন সেটি ভিন্নমাত্রা বহন করে, অন্যরকম এক পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং ঘুরেফিরে বারবার একাত্তরের কথা আসে। গণপরিষদে ভারতের সংবিধান গৃহীত হয় ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর এবং তা কার্যকর হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। সেই থেকে ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। জাত-পাত, সংস্কৃতি ও ধর্ম-বর্ণের শত ভিন্নতা সত্ত্বেও স্বাধীনতার মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সংবিধান প্রণয়নে সক্ষম হয় ভারত।

৭৫ বছর ধরে সংবিধানের মৌলিকত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে পেরেছে বলেই ভারত আজ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উদাহরণ এবং উদীয়মান পরাশক্তি। সুতরাং সেদিন সবকিছু মিলে ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের অনুষ্ঠানটি অনন্য মাত্রায় সবাই উপভোগ করেছেন। অভূতপূর্ব আতিথেয়তার আবেশ আর জলের গান দলের প্রাণজুড়ানো গান শুনতে শুনতেই একসময় শুরু হয়ে যায় প্রস্থানের পালা।

 

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

সর্বশেষ খবর