সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

এই যে আমি, আমি কি আসলেই আমি?

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

এই যে আমি, আমি কি আসলেই আমি?

১. খুব অদ্ভুত এ পৃথিবীর মানুষ। অনেক সময় ভুলে যায় নিজের শেকড়কে, অথচ সেই শেকড়টা না থাকলে আজ যেখানে সে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানটায় হয়তো কখনো পৌঁছতেই পারত না। শেকড় কেবল গাছের থাকে না, মানুষেরও থাকে, অথচ শেকড়কে ছাড়িয়ে মানুষ যখন ক্রমশ ওপরে উঠতে উঠতে শূন্যতায়  ঝুলতে থাকে, তখন হয়তো তার মনে হতে পারে, এই যে সবাইকে পেছনে ফেলে ওপরে উঠে আসা, সে তো কেবল আমারই অর্জন, এই অর্জনের পেছনে যে অনেকগুলো মুখ ছিল, অনেকগুলো হাত ছিল, অনেকগুলো মায়া, মমতা, ভালোবাসা, বিশ্বাস, প্রেরণার উৎস ছিল- সেগুলোর কোনো মূল্যই নেই। ঠিক তখনই মানুষ তার নিজের শেকড়কে হারায়।

আচ্ছা শেকড় ছাড়া কি একটা গাছ টিকে থাকতে পারে? খুব সহজ সরল উত্তর, পারে না। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হলো- গাছের ওপরের অংশটা দেখা গেলেও শেকড়কে দেখা যায় না, যারা দিতে জানে, তারা নিজেদের লুকাতেও জানে। শেকড় গাছের বোঝা মাথায় নিয়ে সবার সামনে এসে নিজের বড়ত্ব ও গৌরব প্রচার করতে চায় না, বরং মাটির নিচে নিজেকে লুকিয়ে রেখে সবাইকে একটা বার্তা পৌঁছে দিতে চায়। সেই বার্তাটা হলো- কাউকে কাউকে মেঘেঢাকা তারা হয়ে থাকতে হয় এই ভেবে যে, সে যদি আড়ালে থাকতে পারে তবেই কারও কারও নতুন করে জন্ম হতে পারে, কেউ কেউ সুপ্ত কুঁড়ির ভিতর থেকে নতুন ফুল হয়ে ফুটতে পারে। যারা নিজেদের লুকিয়ে রাখে তারা এতটাই মহৎ হয় যে, তাদের কথা কে ভাবল আর কে ভাবল না, সেটা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং তারা নিজেরা কুপির নিচে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত জ্বালানি হয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিজেরা ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিঃশেষ হতে হতে সেখান থেকে জন্ম নেওয়া আলোদের মহত্ত্ব ছড়িয়ে দেয় মানুষ থেকে মানুষে, সময় থেকে সময়ে, সভ্যতা থেকে সভ্যতায়।

খুব নিষ্ঠুর এ পৃথিবী, মানুষ যতই বড় হতে থাকে ততই তার অর্জনের পেছনে শেকড়ের অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে থাকে। চোখের অন্ধত্বকে মানুষ জয় করতে পারে, মনে অন্ধত্ব জন্ম নিলে তাকে জয় করা যায় না। চোখ দিয়ে সবকিছু দেখলেই সবকিছু দেখা যায় না, কারণ মনের চোখ যে কপালের নিচে দৃশ্যমান দুটি চোখের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী, যেটা দিয়ে কেবল দেখায় যায় না, অনুভবও করা যায়। চোখের দেখায় মনে হয়, সময় থেমে থেমে চলছে অথচ সময় পাগলা ঘোড়ার মতো দ্রুত দৌড়াচ্ছে, যেমন তার ইচ্ছা তেমন করে। আলোর গতিও হয়তো সময়ের গতির কাছে হার মানছে, সেটা কি সবাই এখন আর বুঝতে পারে। ফেলে আসা সময়কে দেখতে গিয়ে আঁতকে উঠতে হচ্ছে, মনে হচ্ছে সময় তো আমার সঙ্গেই চলছিল, কিন্তু বাস্তবতা হলো সময়ের সঙ্গে মানুষ কোনো দিনও পেরে ওঠেনি। ঝাপসা হয় ফেলে আসা সময়। না, ঠিক সময় না। মানুষ সবকিছুকে কুয়াশার চাদর পরিয়ে ঝাপসা করে ফেলে দায়টা চাপিয়ে দেয় সময়ের ওপর। সময় হয়তো মাস্টার মশাইয়ের মতো বোঝাতে চায়, তোমার শেকড়কে চেন, একটু তোমার জন্য শেকড়ের ত্যাগগুলোকে স্মরণ কর, একটু হলেও তোমার মরে যাওয়া অনুভূতিতে তাদের মুখগুলোকে ভাসাও। হয়তো তারা খুব বড় কেউ নয়, কিন্তু তোমার বড় হওয়ার পেছনে তারাই তো তাদের সবকিছু নিগড়ে দিয়েছে। এগুলোতে যদি মনে হয় তোমার মহামূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে আর কিছু না পার অন্তত কৃতজ্ঞ হও, মাথাটা নিচু করে মাটির দিকে তাকাও, পায়ে ময়লা জমবে বলে মাটিতে পা ফেললে নিজের মর্যাদাটা নিচে নেমে যাচ্ছে বলে মনে হলে অন্তত একবার মনে কর তুমি আছ, তারা ছিল, তারা না থাকলে তুমি এতটা দূর এসে পৌঁছাতে পারতে না।

জানি না কেউ ভাববে কি না, সবাই তো উড়ছে, উড়ছে তো উড়ছেই, অথচ উড়ার মতো পাখা নেই, ফানুসের মতো শক্তি নেই, তবে অহংকারের অভাব নেই। আর অহংকার পতনের মূল-হয়তো এটা একটা বাণীচিরন্তনী মাত্র, শুনতে ভালো লাগে, কিন্তু এ কথা বাস্তবে বললে লোকে বলবে যত সব ব্যাকডেটেড বেকুবের দল। কারণ সবাই যে এখন খুব আধুনিক, খুব ভদ্দর লোক, অতীব বুদ্ধিমান!

২. এই যে আমি, আমি কি আসলেই আমি? হয়তো, আমি জানি, আমি আছি, তারপরও কেন জানি নিজেকেই খুঁজছি?

আমার নিজের ছায়া, সে ছায়াকেও কেমন যেন অচেনা অচেনা লাগছে, যখন আলোর সঙ্গে চলি তখন আমার ছায়া আমার সঙ্গে চলে, আলো পেরিয়ে অন্ধকারে ঢুকলেই আমার ছায়াটাই আমাকে ছেড়ে চলে যায়। এতদিন জেনেছি, আমার ছায়া অথচ সেই আমার ছায়াকেই আমি খুঁজছি। কখনো ভাবছি, আমার ছায়াটা বুঝি সুবিধাবাদীদের খাতায় নাম লেখাল, যখন আলো তখন তো আমি একাই পথ চিনতে পারি অথচ সেই আলোতে আমার ছায়া আমার সঙ্গে চলছে, যখন অন্ধকার, পথ হারানোর ভয়, তখন আমার ছায়া নিজেই পলাতক।

তারপর আবার ভাবছি, আমি যে আমি, সেই আমিটাও কি আমাকে ছেড়ে ছায়ার মতো করে চলে গেছে! নিজেকেই যেখানে খুঁজে পাওয়া যায় না সেখানে গর্ব করে আমরা দাবি করছি, পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা আমি খুঁজে পাইনি অথচ সবকিছু খুঁজে পেয়েও নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি না। এতটা অসহায়ত্ব বোধ হয় পৃথিবীতে আর কিছু নেই। অথচ সেই অসহায়ত্বের ভিতর আমি তো নিজেই নেই। কিন্তু তারপরও কোথায় যেন একটা বাঁশির সুর, কানে ভাসছে অথচ কাঠের বাঁশির দেখা মিললেও সুরকে খুঁজে পাচ্ছি না। কান দিয়ে সুর শুনছি অথচ সুরকেই দেখতে পাচ্ছি না, অথচ তখনো ভাবছি কোনটা বেশি দরকার- বাঁশি, নাকি সুর, ফুলের সৌন্দর্য, নাকি ফুলের গন্ধ, মানুষ, নাকি মনুষ্যত্ব? যখন নিজে কাঁদছি তখন কান্নার পানিকে বুকে চেপে রাখছি, এমন করে কান্নাকে বন্দি করতে করতে নিজের ভিতরের অনুভূতিকেই বদলে ফেলেছি। বেদনায় আহত মন অথচ চারপাশের মানুষের ভিতর দিয়ে চলতে চলতে হাসছি, মনে জমাট বাঁধা কালো মেঘ অথচ সেই মেঘে ঝড়ের বদলে রংধনু আঁকছি। ঠিক আমি যেটা করতে চাচ্ছি সেটা করতে পারছি না, কোথায় যেন একটা অদৃশ্য সুতোর টান। সেই সুতোটা আছে অথচ দেখতে পাচ্ছি না। মনটা আমার অথচ মনের ভিতরে আমার আমিটাই নেই। বৈপরীত্যের মধ্য দিয়ে হাঁটছি, এটা কি সেই আমি, যেই আমি এক দিন আমার ভিতরের আমিকে সঙ্গে নিয়ে চিৎকার করতে করতে আনন্দে মাটিতে লুটিয়ে পড়তাম, নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতার কাটতে কাটতে পানির সঙ্গে খেলা করতাম, শীতের সকালে ঘাসের বুকে ছড়িয়ে পড়া শিশিরের বিন্দু বিন্দু পানির ভিতরে নিজের অনেকগুলো মুখ দেখতে পেতাম। অনেকগুলো কাঁচের টুকরো, অনেকগুলো আমার মতো মুখ, অথচ আমি কি সেই আমি, যেই আমি এক দিন ছিলাম অথচ এখন নিজের নিখোঁজ হওয়ার বিজ্ঞাপন পত্রিকায় ছাপিয়েও নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি না।

৩. নেতাদের বলব, আজকে যারা আপনাদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তারা আপনাকে নয়, আপনার ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত নিজেদের স্বার্থকে আদায় করার কৌশলকে প্রয়োগ করছেন। একটু ভেবে দেখুন তো, আপনার আগে যিনি আপনার জায়গায় ছিলেন, এক দিন তারা তার চারপাশে ছিল তখন আপনার পাশে উনাদের দেখা যায়নি। বিষয়টা অনেকটা একটা গানের কিছু অংশের মতো “সম্পর্ক বদলে গেলো একটি পলকে, কে আপন কে যে পর হলো রে”। এখন আপনি সেই মানুষটার জায়গা পাওয়ায় এখন তারা আপনার চারপাশে অথচ সেই মানুষটা ক্ষমতা হারানোর সঙ্গে সঙ্গে তার চারপাশের সেই ভিড় নেই, মৌমাছির দল নেই। মনে রাখবেন, এমনটা হয়তো এক দিন আপনার জীবনেও ঘটতে পারে। মানুষ খুব অকৃতজ্ঞ ও স্বার্থবাজ হয়, তারা মানুষকে নয়, তার ক্ষমতার চেয়ারকে ভালোবাসে। এদের চিনে রাখুন, বর্জন করুন, তবেই প্রকৃত মানুষরা দেশ গঠনে আপনাদের শক্তি হয়ে উঠবে।

প্রকৃত মানুষ যদিও বলা হয় কমছে, এটা ভুল ধারণা কিংবা প্রকৃত মানুষদের আড়াল করতে সুবিধাবাদী মানুষদের এটি একটি কৌশল ও মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্ব। প্রকৃত মানুষরা স্বার্থবাজ, তেলবাজদের মতো এতটা সরব না, এতটা প্রচার তাদের নেই, পাদ-প্রদীপের নিচেই কোনোরকম জীবনের বোঝা টানতে টানতে পড়ে থাকতে তারা ভালোবাসে, নীরবে নিভৃতেই তারা সারাটা জীবন কাটিয়ে দেয়, তারা পর্দার পেছনেই থাকতে ভালোবাসে, তাদের খুঁজে নিতে হয়।

নেতাদের বলব, আপনাদেরও অনেক মানুষ তেলবাজ, স্বার্থবাজ বলে মনে করে, কারণ ক্ষমতার অদৃশ্য সুতো ধরে সবাই ওপরে উঠে চায়, যত ওপরে উঠা যায়, ততই লোভ বাড়তে থাকে, যেটা একটা ভয়ানক ব্যাধির মতো, সেই ধারণা বদলে দিয়ে আপনারা সব স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে দেশপ্রেমের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেবেন বলে বিশ্বাস করতে মন চায়। জানি না পচন ধরা সমাজে সেটা সম্ভব কি না কিন্তু স্বপ্ন তো দেখায় যায়। বাণিজ্যিক এ দুনিয়ায় সবকিছুতেই পয়সা লাগে, আমাদের মতো আলতু-ফালতু মানুষদের স্বপ্ন দেখতে তো আর পয়সা লাগে না। কারণ স্বপ্নটাই যে আমাদের সম্বল। পকেটে টাকা নেই, ইমোশনাল স্বপ্নই আছে, যদিও সেই স্বপ্নের দাম কারও কাছে নেই। কিন্তু তারপরও মুখে হাসি ধরে রেখে স্বপ্নটাকে আঁকড়ে বেঁচে থাকার নিরন্তর লড়াইটা চালিয়ে যেতে হয়, যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে, ঠিক ততক্ষণ।

৪. কে জানি বলেছিল, মাথার ওপরের ছাদটা চিরকালের জন্য হারিয়ে ফেললাম। না, ঠিক ইট-পাথরের ছাদ না, ভালোবাসায় মায়া জড়ানো একটি মুখ, খুব আপন, খুব কাছের, হয়তো তার শরীরের গন্ধটা এখনো হাতে লেগে আছে কিন্তু সে তো আর নেই। যখন সে বেঁচে ছিল তখন হয়তো মনেও হয়নি যাকে সে হারিয়েছে, সেই তার মাথার ওপর ছাদ হয়ে তাকে আগলে রেখেছিল। অথচ মাথার ওপরে এখন আর সেই পরম আদরের ছাদটা নেই, আছে শূন্যতা, একাকিত্ব, ব্যাকুলতা, দীর্ঘশ্বাস...।

এখনো সকাল হয়, দুপুর হয়, দুপুর গড়িয়ে রাত হয়, রাত পেরিয়ে আবারও সকাল হয়- পথের দিকে চেয়ে থাকে পিপাসার্ত চোখ, অস্থির মন, যদি সে আবার ফিরে এসে মাথার ওপরের ছাদ হয়ে পাশে দাঁড়ায়, কিন্তু যে চলে যায় সে তো আর ফিরে আসে না। এখনো রেলগাড়ির হুইসেল বাজে, উৎসবের আনন্দে আতশবাজির শব্দগুলো কানে এসে আছড়ে পড়ে, আকাশ থেকে ঝমঝম করে বৃষ্টির পানি টিনের চালে সুর তোলে, মনে হয় সে যদি দরাজ গলায় নাম ধরে আবার ডাকে কিন্তু যে চলে যায়, সে তো আর কোনো দিনও ফিরে আসে না।

এই তো পৃথিবী, এই তো জীবন, জীবনের প্রয়োজনে কত আয়োজন অথচ সেই আয়োজনে যাদের থাকার কথা ছিল তারাই হয়তো এখন আর নেই। এখন হয়তো মাথার ওপরে ইট-পাথরের ঢালাই করা ছাদ আছে, নগরের পিচঢালা রাস্তায় মুখোশপরা ব্যস্ত মানুষের ভিড় আছে, ঝাড়বাতির আলোর জৌলুসে প্রকৃতিকে বন্দি করে কৃত্রিম সৌন্দর্যের ঝলকানি আছে অথচ যাদের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি ছিল, তারাই আর নেই।

মানুষের জীবনে সেই ছাদগুলো কখনো একজন মমতাময়ী মা, কখনো ভালোবাসি বলতে চেয়েও ভালোবাসি বলতে না পারা যন্ত্রণায় দগ্ধ একজন বাবা কিংবা সংসারের বোঝা টানতে টানতে জীবনযুদ্ধে হার না মানা একজন স্বামী, সবাইকে সুখী করতে গিয়ে নিজের সাধ-আহ্লাদ না মেটানো একজন ত্যাগী স্ত্রী, এমন আরও অসংখ্য মুখ, তারা বেঁচে থাকতে তাদের মূল্যটা হয়তো কেউ বোঝেনি, বরং মনে হয়েছে জীবন বুঝি কখনো থেমে যাবে না, সময় বুঝি কখনো থমকে দাঁড়াবে না, জীবনে চলছে, চলবেই এভাবে। কিন্তু বাস্তবতা যে খুব কঠিন,  যেটা মানুষ ভাবে না, সেটাই ঘটে যায়, কারণ সবটাই যে খুব অনিশ্চিত, গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে কি না সেটাও তো কেউ আগে থেকে জানে না।

জীবন থেমে থাকে না, সময়কে আটকানো যায় না, কিন্তু নির্মম বাস্তবতা হলো- জীবন আর সময়ের সঙ্গে হার মেনে মানুষকে এক দিন থেমে যেতে হয়, হয়তো অনেকটা আগেই, কিংবা খানিকটা পরেই, হয়তো তখনো অল্পটুকু খাওয়া গরম চা থেকে ধোঁয়ার মতো বাষ্প বের হচ্ছে। ইট-পাথরের দালান আছে অথচ সেখানে ঘুমাতে গেলে মনে হয় রাজপ্রাসাদে বন্দি হয়ে আছি।  কিন্তু এক দিন মুক্ত ছিলাম, স্বাধীন ছিলাম, তখন নাক ডেকে ঘুমাতাম, যখন সেই মায়া মায়া আদরের হাত বুলানো ছাদগুলো ছিল।

লেখক : শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

সর্বশেষ খবর