বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা সচিবদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দেওয়া ইশতেহারকে ভিত্তি ধরে আগামী পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা সাজাতে বলেছেন। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন। টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেন সরকারপ্রধান। বৈঠকে পরিকল্পনা সাজানোর ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি অঙ্গীকারকে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন। বলেন, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে একটা ধারাবাহিকতা আছে। ২০৪১ সাল নাগাদ ‘স্মার্ট’ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায় সরকার। সে ইশতেহারের পক্ষে জনগণ রায় দিয়েছে। তাই এ নির্বাচনি ইশতেহার হবে আগামী পাঁচ বছরের সরকার পরিচালনার মূলনীতি। এ দলিল বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সমন্বয়ের কাজ করবে। কোন মন্ত্রণালয়ের কী কাজ, তা চিহ্নিত করা হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ ভাগ করা হবে। সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে দুর্নীতি দমন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার যে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা এ কলামে বারবার বলেছি দুর্নীতি সরকারের সব অর্জনকে গিলে খাচ্ছে। দুর্নীতি দমনে নানামুখী পদক্ষেপের কারণে অঙ্কের হিসাবে দেড় যুগ আগের চেয়ে দুর্নীতি কমলেও এ সাফল্যকে কোনো সাফল্য বলার সুযোগ নেই। কারণ বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশ এখনো শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের একটি। দেশবাসীকে দুর্নীতি নামের নোংরা ভূতের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে কঠোরতম অবস্থান নিতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। দেশ দ্রুত এগিয়ে চললেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সে অগ্রগতির সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য চাঁদাবাজি যে অন্যতম দায়ী তা ওপেন সিক্রেট। শুধু পরিবহনের ক্ষেত্রে নয়, শীর্ষ ব্যবসায়ী থেকে পাড়ামহল্লার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবাই চাঁদাবাজির নিত্য শিকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজদের কালো হাত ভাঙার উদ্যোগ নিতে হবে, দেশবাসীর কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতার স্বার্থেই।

সর্বশেষ খবর