শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কর্মজীবী নারী

সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হোক

দুনিয়াজুড়েই কর্মজীবী নারীদের অনেককেই ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। এদিক থেকে সভ্য হিসেবে গর্ব পোষণকারী পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে বাইরের দেশগুলোর পার্থক্য থাকলেও কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। নারী ঘর সামলে, শত বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তার নিজের ও পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে শ্রমবাজারে ঢুকছেন। কিন্তু এ বিপুল পরিমাণ কর্মজীবী নারীকে ঘরের বাইরে কাজ করতে গিয়ে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আধুনিক যুগে এসেও অনেক পরিবার নারীদের ঘরের বাইরে কাজ করাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে না। আবার নিজ জেলার বাইরে যে নারীরা ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে কাজ করতে যাচ্ছেন, তারা বাসস্থান সংকটে পড়ছেন। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে এখনো নারীবান্ধব গণপরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি। কর্মজীবী নারীদের সন্তান রেখে কাজ করতে যাওয়ার সমস্যা দীর্ঘদিনের। আর নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্যের বিষয়টি পুরনো। কাজে গিয়ে নারীদের এখনো প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি অনেকে পুরো মাতৃত্বকালীন ছুটিও ভোগ করতে পারেন না। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীদের অবদান বিশাল। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের সিংহভাগই নারী। অথচ তাদের নিরাপত্তা এখনো একটি প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর কিংবা রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরা প্রায়ই অনিরাপদ হয়ে ওঠে বখাটে নামের মানুষ শকুনদের কারণে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে চাকরিজীবী নারীর সংখ্যা বাড়ছে। যাদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতনদের আচরণ বহু ক্ষেত্রেই শোভনীয় নয়। প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে দেশের সরকারপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত আছেন নারী নেত্রীরা। স্বভাবতই বাংলাদেশ কর্মজীবী নারীদের জন্য নিরাপদ এবং সমঅধিকার নিশ্চিতকরণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর