শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের শুল্ক হ্রাস

দাম কমাতে অবদান রাখবে

রোজার আগে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের দাম কমাতে সরকার শেষ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব পণ্যের বিভিন্ন পর্যায়ের শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। রমজানের আগে এসব পণ্যের শুল্ককর কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয় এনবিআরকে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুল্ক কমানোর আশ্বাস দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে এসব পণ্যের শুল্ককর কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ১৫ মে পর্যন্ত এ সুবিধা পাবেন চাল আমদানিকারকরা। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত উভয় ধরনের চিনি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি টনে আমদানি শুল্ক দেড় হাজার থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি আমদানি শুল্ক ৩ হাজার থেকে কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর, মূসক বা ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে দেশে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হবে না এ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমানো হয়েছে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশ থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ের ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ১০ শতাংশ রাখা হবে। খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। যা আগে ছিল ২৫ শতাংশ। আশা করা যায়, শুল্ক হ্রাসের ফলে এসব পণ্যের দাম কমবে। বিশেষ করে চাল আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের সুবিধা তিন মাসের বেশি নির্ধারণ করায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। তবে এ বিষয়ে সরকারকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর