রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পিঁয়াজে বেজায় ঝাঁজ

ভর্তুকি দিয়ে হলেও উৎপাদন বাড়ান

পিঁয়াজে এখন বেজায় ঝাঁজ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে দাম। এক সপ্তাহ আগে যে পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি তা এখন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় কয়েক মাস ধরে চাষিদের তোলা মুড়িকাটা পিঁয়াজে চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। দেশি এ পিঁয়াজের সরবরাহও প্রায় শেষ। চাহিদার তুলনায় জোগান কমায় আবারও বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মতে, মুড়িকাটা পিঁয়াজের মৌসুম শেষ। বেশির ভাগ এলাকার কৃষক ওই পিঁয়াজ তুলে ফেলেছেন। আর হালি পিঁয়াজের ভরা মৌসুম শুরু হতে কিছুদিন বাকি। মধ্যবর্তী সময়ে চলছে সরবরাহ ঘাটতি। যে কারণে বাজারে দাম বাড়ছে। আমদানির বড় সূত্র ভারত থেকে পিঁয়াজ আসা বন্ধ। আমদানি না থাকায় কয়েক মাস ধরে আগাম জাতের মুড়িকাটা পিঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। দেশি এ পিঁয়াজের সরবরাহ প্রায় শেষ পর্যায়ে হওয়ায় বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। অন্যান্য বছর মৌসুমের এ সময়ে পিঁয়াজ থাকে ৩০-৩৫ টাকা কেজি। কিন্তু এবার ভরা মৌসুমেও অস্বাভাবিক ওঠানামা করছে নিত্যপণ্যটির দর। গত বুধবারও ঢাকার খুচরা বাজারে ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হয় পিঁয়াজ। বৃহস্পতিবার তা ১২০ টাকায় পৌঁছেছে। পিঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী অবস্থা থেকে নিচে নামানোর প্রকৃষ্ট পথ হলো ভারত থেকে আমদানি। কিন্তু ভারতের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে তারা কয়েক মাস ধরে পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। হতাশার মধ্যে আশার কথা, রোজার আগেই বাজারে ব্যাপকভাবে উঠবে দেশি হালি পিঁয়াজ। পিঁয়াজের বাজারে যে ঊর্ধ্বগতি চলছে তাতে কল্পকথার সিন্ডিকেটের ওপর অভিযোগ চাপানোর অবকাশ নেই। প্রায় প্রতি বছর পিঁয়াজ নিয়ে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দায় এড়ানো নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের সাধ্যের মধ্যে রাখতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে পিঁয়াজ চাষে কৃষককে দিতে হবে ভর্তুকি। বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় করে ভারত বা অন্য দেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানির বদলে ভর্তুকি দিয়ে দেশে উৎপাদন বাড়ানো হবে অর্থনীতির জন্য উত্তম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর