বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অপহরণ বাণিজ্য

অপরাধীদের কঠোর সাজা নিশ্চিত করুন

দেশে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। অপরাধীরা মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতকে হত্যা করা হবে এমন হুমকি দিয়ে স্বজনদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলার জন্য অস্বস্তি ডেকে আনছে অপহরণকারীরা। কক্সবাজারের টেকনাফে পান বরজে কাজ করার সময় এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। বাহারছড়া ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা পাহাড়ের পাদদেশে পান বরজে কাজ করার সময় অপহরণের শিকার হয় আবদুল আমিন নামের ওই কিশোর। সোমবার সকালে মা-বাবা, ভাই-বোনসহ আবদুল আমিন পান বরজে কাজ করতে যায়। হঠাৎ মুখোশধারী কিছু লোক অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে অপহৃতকে নিয়ে গহিন পাহাড়ের দিকে চলে যায়। এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি। ঢাকার কেরানীগঞ্জে অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় অপহৃত শিশু শিক্ষার্থী তাওহিদকে হত্যা করেছে অপহরণকারী। শিশুটিকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। মুক্তিপণ আদায় ও শিশুর হত্যাকারী মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মুক্তিপণের ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। নিহতের পরিবার এবং অপহরণকারী একই এলাকার বাসিন্দা। কিছুদিন আগে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করার সময় তাওহিদের পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাওহিদের বাবা একজন প্রবাসী। মুক্তিপণ হিসেবে অর্থ আদায়ের লোভে ঘটে অপহরণের ঘটনা। অপহৃতের মায়ের কাছে মোবাইল ফোনে বলা হয়, মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লাখ টাকা না দিলে তাওহিদকে হত্যা করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জানালেও ঘটবে একই পরিণাম। অপহৃত শিশুর পরিবার এ বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে তাদের পরামর্শে অপহরণকারীর নির্দেশনা মোতাবেক টাকা দেওয়া হয়। র‌্যাব মকবুলকে টাকাসহ গ্রেফতার করেছে। অপহৃত শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয় সেপটিক ট্যাংক থেকে। অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজাও নিশ্চিত করা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর