বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সুন্দরবন সুরক্ষা

বৃক্ষ-প্রাণী নিধন ও দূষণ রুখতে হবে

সুন্দরবন বাংলাদেশের বৃহত্তম বন। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বা বাদাবনও এটি। সুন্দরবনে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ও শক্তিশালী বাঘ ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’। সুন্দরবনের হরিণ প্রাণিকুলের অন্যতম প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত। সুন্দরবনে রয়েছে বানরসহ নানা জাতির প্রাণী। এটি এমন বন প্রতিদিন চারবার যার সৌন্দর্যে পরিবর্তন ঘটে। সুন্দরবনে অবাধে বাঘ ও হরিণ শিকারের পরিণতিতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর বাঘ প্রজাতির সংখ্যা ১০০-এর সামান্য বেশি। সুন্দরবনের কাঠ লুট করে নিয়ে যায় চোর-মহাচোরেরা। এ বাদাবন রক্ষায় সরকারের দিক থেকে নানা উদ্যোগ থাকলেও সুন্দরবনে থেমে নেই বাঘ-হরিণ শিকার। নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করায় নষ্ট হচ্ছে বনের জলজ পরিবেশ। পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপের অভাবে বনে বাড়ছে দূষণও। তবে বন কর্মকর্তাদের দাবি, সুন্দরবন রক্ষায় ‘সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প’ ও ‘সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে বন বিভাগ। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ করা ও বনের ওপর পরিবেশ দূষণের প্রভাব কমানো সম্ভব হবে। স্মর্তব্য, বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন রক্ষায় প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুন্দরবন দিবস’ পালন করে সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন বেসরকারি পরিবেশ সংগঠন। তাদের দাবি, সরকারিভাবে দিবসটি উদ্যাপন করা হলে সুন্দরবনের প্রতি মানুষ আরও সংবেদনশীল হবে। ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়। সুন্দরবন সুরক্ষায় সব ধরনের প্রাণী শিকার শুধু নিষিদ্ধ করা নয়, প্রশাসনকে কড়া হতে হবে। অবাধে গাছ কাটা বা চুরি বন্ধ করাও জরুরি। সুন্দরবনের দূষণ রোধে নিতে হবে কড়া ব্যবস্থা। পর্যটকরা যাতে যেখানে সেখানে প্লাস্টিকসামগ্রীসহ অন্যান্য বর্জ্য ফেলে রাখতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বন বিভাগকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর