সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ওদের লাগাম পরাতে হবে

শাহজালাল বিড়ম্বনার অবসান হোক

বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দুনিয়ার প্রায় সব বিমানবন্দর যাত্রীসেবাকে তাদের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিলেও শাহজালালে যাত্রী ভোগান্তিই শুধু জোটে। অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করার ক্ষেত্রেও শাহজালালে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো জুড়ি নেই। ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া যাত্রীদের টাকা-পয়সা, মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়া হয় অহরহ। ভিআইপি, সিআইপি যাত্রীরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। নজিরবিহীন এমন কর্মকান্ড ঘটছে প্রতিনিয়ত। হয়রানির হাজারো অভিযোগ নিয়ে একের পর এক বৈঠক, মন্ত্রী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সিভিল এভিয়েশনের কড়া তদারকি, প্রশাসনিক নজরদারিসহ গোয়েন্দা বিভাগগুলোর নানামুখী তৎপরতায়ও হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না। যারা যাত্রীদের হয়রানিমুক্ত করার দায়িত্বে নিয়োজিত তারাই উল্টো যাত্রী হয়রানির কর্মকান্ডে মেতে ওঠেন। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেরিয়ে আসার মুহূর্তেও দেশে ফেরত বিজনেস ক্লাস যাত্রীদের আটকে দেওয়া হয় নানা অজুহাতে। যা বিশ্বের সভ্য কোনো দেশেই সম্ভব নয়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত ও নাজেহালের শিকার হচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশিরা। তারা দেশে ফেরা ও কর্মস্থলের উদ্দেশে দেশত্যাগ- উভয় ক্ষেত্রেই চরম হয়রানির শিকার হন। যাদের কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রায় দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে, সেই প্রবাসী কর্মজীবীদের সঙ্গে কাস্টমস বিভাগের আচরণ আরও রূঢ় আরও ন্যক্কারজনক। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশে শাহজালালের মতো বিভিন্ন সংস্থার মোকাবিলা করে যাত্রীদের যাওয়া-আসা করতে হয় না। শাহজালালে নিয়োজিত নানা সংস্থার নাকের ডগায় মণকে মণ সোনা চোরাচালান হয়ে আসে বিদেশ থেকে। আসে মাদকদ্রব্য। কর্তব্যরতদের যোগসাজশে চলে এসব চোরাচালান। যে কারণে দেশের বৃহত্তম বিমানবন্দরে কর্মরতদের সিংহভাগই কোটিপতি। সুইপাররাও এমন সৌভাগ্যের অধিকারী। শাহজালালে বিদ্যমান যাচ্ছেতাই অবস্থার অবসানে সরকারকে শক্ত হতে হবে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর