সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যে ঊর্ধ্বগতি

অসৎ ব্যবসায়ীদের সামাল দিন

রমজান সামনে রেখে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানো হলেও বাজারে তার সুফল পড়েনি। ছোলা, বেসন, খেজুরসহ প্রতিটি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রমজানে পণ্যমূল্যের দাম বাড়বে না সরকারের এমন প্রতিশ্রুতি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। গত এক মাসে ছোলার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগেও প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। খুচরায় খেসারির ডাল প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগেও ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি। ডালের দাম বাড়ায় বেড়েছে বেসনের দাম। এক মাসের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মুগডালের। পণ্যটির দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে বর্তমানে রেকর্ড দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৪৫ ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল চিনি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে জাতভেদে সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। দাবাস ও তিউনিসিয়ান জাতের মতো সাধারণ মানের খেজুরের কেজি এখন ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজোয়া খেজুর মানভেদে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে। শুধু রমজানের সময় বেশি চাহিদাসম্পন্ন পণ্য নয়, যে কোনো নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। বাজারে গিয়ে দামের বহর দেখে অনেকে হতাশায় ভুগছেন, মানসিক রোগীতে পরিণত হচ্ছেন। নির্বাচনের আগে রাজধানীতে গরুর মাংসের কেজি ৮০০ থেকে কমে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নির্বাচনের পর মাস না ঘুরতেই সাধারণ গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি এবং হাড় চর্বি ছাড়া মাংস প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি এবং মাছের দাম এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। রমজানে ব্যবহৃত পণ্যগুলোর দাম কমাতে সরকারকে এখন থেকেই তৎপর হতে হবে। অসৎ ব্যবসায়ীদের লাগাম পরাতে হবে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর