বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভাষাশহীদ বরকত, তাঁর মা এবং জিয়াউর রহমান

কারার মাহমুদুল হাসান

ভাষাশহীদ বরকত, তাঁর মা এবং জিয়াউর রহমান

আমি তখন বঙ্গভবনে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বাংলাদেশ অফিসে। আমার নিজ সনাতন দায়িত্বে স্টাফ অফিসার হিসেবে বিকাল ৫টা থেকে আনুমানিক কম-বেশি রাত ১০টা পর্যন্ত অতিরিক্ত দায়িত্বে কাজ করছি। তখন উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তার সঙ্গে আমার কাজ কর্ম দায়িত্ব ইত্যাদি বিষয়ে ইন্টারেকশন বেশি ছিল। বিশেষত জনদুর্ভোগ নিরসন ইত্যাদি বিষয়ে। সময়, তারিখ কত ছিল তা ঠিক মনে নেই। তবে ঘটনাটি ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মাঝামাঝি দিককার কথা। সিএমএলএ অফিসে একটা জরুরি কাজে সন্ধ্যার পর জেনারেল জিয়ার সঙ্গে কথা বলে উঠতে যাব, এমন সময় আমার মনে হলো, একটা বিষয় তাঁকে (জেনারেল জিয়াকে) অবহিত করা দরকার। আমার চেহারা দেখে তিনি বুঝতে পারলেন, আমি কিছু বলতে চাই। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আর কিছু বলার আছে কি না।’ বললাম, ‘স্যার, বেশ কদিন থেকে একটা কথা আপনাকে বলব বলব করে আর বলা হয়ে ওঠেনি, যা এখন বলতে চাচ্ছি,’ তিনি বললেন ‘বলুন’।

বললাম, ‘স্যার, ১৯৫২ সালের পর থেকে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন শহীদ মিনারে খালি পায়ে কাক ডাকা ভোর শত শত, হাজার হাজার ছাত্র শিক্ষক-কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ আবালবৃদ্ধবণিতা মিছিল করে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গান গেয়ে গেয়ে ফুলে ফুলে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ি। বিভিন্ন কিসিমের নেতারা গত ২৫ বছর যাবৎ বছরের একটি দিনে আসে আবেগ কান্না কান্না ভাব নিয়ে। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গান’ গেয়ে ভালোবাসা আর উচ্ছ্বাসসহ দিনটি পার করেন। বছরের অন্য কোনো দিন শহীদ বরকত, সালাম, জব্বার, রফিকদের কথা তাদের পরিবারের অসহায় অবস্থা বিভিন্ন সংকটে নাজেহাল অসহায় পরিবার পরিজনদের কথা নাদান জাতি আর কোনো খবরাখবর রাখার প্রয়োজন বোধ করে না। লক্ষ্য করলাম, প্রেসিডেন্ট জিয়া অভিনিবেশ সহকারে আমার আবেগতাড়িত কথাগুলো শুনছেন। আমি বললাম, স্যার এ প্রসঙ্গে আমি একটি কথা বলতে চাই। কথাটি হলো ‘প্রতি বছরের মতো এ বছরও শহীদ বরকতের মা তার ছেলের কবর জিয়ারত করার জন্য বাংলাদেশে আসবেন এবং জয়দেবপুরে তার এক আত্মীয়র বাসায় কিছুদিন থাকেন। পত্রিকায় পড়লাম এবারও তিনি ৪-৫ দিনের সফরে এসেছেন এবং জয়দেবপুরে আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন।’ বললাম, ‘আপনি যদি চান তবে তাঁকে আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে পারি।’ তিনি বললেন, ‘অবশ্যই আমি সাক্ষাৎ করতে চাই। সম্ভব হলে একুশে ফেব্রুয়ারির আগেই ব্যবস্থা করুন, ভুলবেন না যেন।’ আগের দিন সম্ভবত ১৬ বা ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ সন। সচিবালয়ে ইলেকট্রিক সেক্টরে এক কর্মচারীর সঙ্গে আমার বেশ আগ থেকে আলাপ পরিচয় ছিল, তিনি শহীদ বরকতের ভাগনি জামাই। আমি নিজে সচিবালয়ে গিয়ে একটা খোঁজ করলাম এবং শহীদ বরকতের মা তার নানি বা দাদি শাশুড়ির খবর জানতে চাইলে তিনি জানালেন যে, ‘চার দিন আগে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন এবং জয়দেবপুরে তার বাসায় উঠেছেন।’ আমি তখন প্রেসিডেন্ট জিয়ার সঙ্গে শহীদ বরকতের আত্মীয়দের সঙ্গে জিয়ার সাক্ষাতের আগ্রহ বিষয়ে জানাতেই, তার চোখে মুখে হাসির ঝলক লেগে গেল।

আমি তাকে বললাম, “আগামী উনিশে ফেব্রুয়ারি তারিখে সকাল ৮টা নাগাদ আমার অফিসের গাড়ি পাঠাব এবং আপনি আপনার নানি শাশুড়ি (শহীদ বরকতের মা’কে) নিয়ে আমার ক্যান্টনমেন্টের বাসায় বেলা ১০টার মধ্যে পৌঁছার চেষ্টা করবেন। আমি সেনাসদরে ওই দিনই ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টা নাগাদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার সঙ্গে শহীদ বরকতের মা’র সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করে রাখব।”

পরের দিন (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহীদ বরকতের ভাগনি জামাই টেলিফোনে জানালেন, তিনি তার শাশুড়িকে নিয়ে জয়দেবপুর তার বাসায় ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রস্তুত থাকবেন এবং গাড়ি পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে রওনা হয়ে যাবেন।

আমি এ খবরটি সেনাবাহিনী প্রধানের সামরিক এডিসিকে টেলিফোনে অবহিত করে রাখলাম। মিনিট পাঁচেক পর তিনি সময় ও তারিখ নিশ্চিত করে আমাকে ‘ফোন ব্যাক’ করলেন এবং জানালেন, সেনাসদর প্রধান ফটকে ১৯ ফেব্রুয়ারি ১১টা নাগাদ আপনাদের প্রবেশ বিষয় জানিয়ে রেখেছেন। যাতে কোনো অসুবিধা না হয়। ওই দিন (১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৭) ভোর নাগাদ ওই ভাগ্নে জামাইকে এতদবিষয়ে পুনরায় অবহিত করে রাখলাম।

১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ শহীদ বরকতের জননীকে নিয়ে জিপে আমার বাসায় হাজির। আমি বাসায় এ সম্মানিত মেহমানের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। শহীদ বরকতের মা হেঁটে চলাফেরার ক্ষমতা ৩-৪ বছর আগে হারিয়েছেন। তাকে কোলে করেই গাড়ি থেকে তার নাতনি জামাই নামালেন। আমার সহধর্মিণী মেহমানকে হাত মুখ ধোয়াবার ব্যবস্থা করলেন, এক কাপ দুধ খাওয়ালেন। সেখানে বেলা ১১টা নাগাদ সেনাসদরে প্রেসিডেন্ট জিয়ার কাছে অফিস কক্ষে পৌঁছে গেলাম। জামাই গিয়ে কোলে করে শহীদ বরকতের মাকে নিজে কোলে নিয়ে সেনাপ্রধান জিয়ার কক্ষে প্রবেশ করে তাকে একটি বড় সোফাতে বসালেন।

প্রেসিডেন্ট জিয়া তাকে সালাম জানালেন এবং তার কাছে বসে কুশল জিজ্ঞাসা করলেন। শহীদ জননী সর্বপ্রথম এত বছর পরে ছেলের বিষয়ে মহামান্য প্রেসিডেন্ট শহীদ মাতার খবর নিলেন- এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন এবং দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর কাছে প্রাণভরে দোয়া করলেন। শহীদ মাতার জন্য নিয়মনীতি মোতাবেক চা-নাশতার ব্যবস্থা ছিল। তিনি শুধু এক কাপ চা-ই পান করলেন। আলাপ প্রসঙ্গে জেনারেল জিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রের কাছে কিছু চাওয়া পাওয়া আছে কি না জানতে চেয়েছিলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বরকত জননী শুধু এতটুকু বললেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতি বছর ঢাকা এসে বরকতের কবর জিয়ারত করতে আসতে এখন খুব কষ্ট হয়ে যায়। তাই যদি নাতি জামাইর বাড়ির পাশে তাকে একটা জায়গার ব্যবস্থা করা যায় তবে তিনি সেখানে একটি টিনের ঘর তুলে জীবনের শেষ দিনগুলো প্রতি বছর বরকতের কবর জিয়ারত করতে পারবেন। প্রতি বছর না এসে রাষ্ট্র থেকে দান হিসেবে প্রাপ্ত জমির ওপর একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে বাংলাদেশে থেকে যেতে চান।

কী সামান্য চাওয়া এ শহীদ জননীর। জিয়া বললেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি নগদ ১০ হাজার টাকার খাম শহীদ জননীর হাতে তুলে দিয়ে বললেন, তার সরকারের পক্ষ থেকে যৎসামান্য উপহার। প্রায় ৩০ মিনিট বরকত জননী সেনাসদরে অবস্থান করে পুনরায় জেনারেল জিয়াকে বুক ভরে দুই হাত তুলে দোয়া করে নাতিন জামাইয়ের কোলে করে বেরিয়ে এলেন। শহীদ বরকতের মা আসার পরপরই প্রেসিডেন্ট জিয়া শহীদ বরকত জননীর ইচ্ছা পূরণের জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করেন। ৩-৪ বিঘা জমি শহীদ বরকত জননীর নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার জন্য মৌখিক নির্দেশ প্রদান করলেন এবং প্রয়োজনীয় ‘ফলোআপ অ্যাকশন’ গ্রহণের জন্য আমাকে নির্দেশ প্রদান করলেন। সদরদফতর থেকে বের হয়ে নাতিন জামাইসহ শহীদ বরকত জননীকে গাজীপুরে একই গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম এবং আমি নিজ অফিসে চলে আসলাম।

অফিসে পৌঁছে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ফোনে কথা বললাম। প্রেসিডেন্ট সাহেবের ইচ্ছার কথা ও শহীদ বরকতের মার সঙ্গে সেদিন সকালে প্রেসিডেন্ট সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বললাম। পরিশেষে বললাম, “জয়দেবপুর শহীদ বরকতের ভাগনি জামাইর বাড়ি, সেখানে বরকত জননীর প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে আসেন ছেলের কবর জিয়ারতের উপলক্ষে, (বাড়ির কাছাকাছি কোনো উপযুক্ত কৃষি জমি অনাবাদি হলেও সমস্যা নাই) তারে চার বিঘা থেকে পাঁচ বিঘা জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার লক্ষ্যে জরুরিভিত্তিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করলাম। জেলা প্রশাসকের নামটি এতদিন ধরে মনে করতে পারছি না, চাকরি জীবনে নিশ্চিতভাবেই তিনি আমার অনেক সিনিয়র হবেন। জানালেন, এতদবিষয়ে যত শিগগিরই সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সে বিষয়ে অগ্রগতি তিনি নিরন্তর আমাকে অবহিত রাখবেন। সম্ভবত অনধিক দুই মাসের মধ্যেই শহীদ বরকতের মার নামে জয়দেবপুর নাতি জামাইর বাড়ির সংলগ্ন কমবেশি ‘তিন বিঘা উঁচু জমি’ বন্দোবস্ত করে দলিল করে হস্তান্তর করা হলো। বিষয়টি আমি সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে অবহিত করলাম। জিয়া আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন এবং এরকম একটা মহৎ কাজে তাঁকে সম্পৃক্ত করার জন্য তিনি পুনরায় আমাকে ধন্যবাদ জানালেন।

এরপর অন্য ভাষাশহীদদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করলাম ধীরেসুস্থে। এ কাজটি করতে গিয়ে কিছু জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। এ মর্মে লক্ষ্য করলাম শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার এদের বংশ উত্তরাধিকারদের খবর করতে গিয়ে দেখলাম, পরিবার পরিজনদের মধ্যে প্রকৃত বংশ ক্রমিক উত্তরাধিকার বিষয়ে বাদানুবাদ মতানৈক্য প্রকাশ পেতে লাগল। এমতাবস্থায় ধীরে অগ্রসর হওয়াই উত্তম হবে মর্মে চিন্তা করে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক বেশি সময় দেওয়া সমীচীন মনে হয়নি।

চাকরিতে প্রবেশের সময় এক মুরব্বি মামা বলেছিলেন, “এ দেশে ‘জমি এবং জীবন’ দুটি অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ বটে। ‘জমি সংশ্লিষ্ট’ বিষয়াদি নিয়ে এদেশে যত মামলা মোকদ্দমা হয়, এক জীবন পার করে আরেক জীবন শুরু হয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে দুনিয়া ত্যাগ করা পর্যন্ত মামলার মীমাংসা হয় না, পুরুষানুক্রমে ঝামেলা-মামলা মোকদ্দমা চলতে থাকে, কিংবা তারও মূল কারণ ‘জমি’। এ নিয়ে জটিলতা একবার শুরু হলে তা দশকের পর দশক অবলীলাক্রমে পার হয়ে গেলেও তার মীমাংসা বা সমাধানের কোনো ‘সীমারেখা’ দেখা যায় না। মামলা-মোকদ্দমা, বিবাদ বিরামহীনভাবে, সে সঙ্গে একে অপরের বিনাশ, সময়ের বিনাশ চলতেই থাকে, এক কথায় ‘যার শুরু আছে, শেষ নেই’।

একদিন শহীদ বরকতের মা’র জন্য খাস জমির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার ব্যাপারে ১০ বছর বা আরও অধিককাল পর ওই শহীদ বরকতের মা’র নাতিন জামাইর সঙ্গে সচিবালয় সাক্ষাৎ হয়। জমিটি কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, বন্দোবস্ত বা দখল নেওয়ার আড়াই বছর পার না হতেই ওই এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি দেওয়ানি আদালতকৃত মামলা রুজু করে এ অভিযোগ আনয়ন করে যে, বন্দোবস্ত জমিটা অর্ধেকেরও বেশি জমি পরিত্যক্ত জমি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে তিনি বেশ কয়েক বছর আগেই বন্দোবস্ত নিয়েছেন এবং ইতোমধ্যে এর মেয়াদ বেশ কয়েক বছর পার হয়েছে, আরও পাঁচ বছর সামনে আছে। এ ছাড়া জজকোর্ট থেকে এ দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালতের স্থিতাবস্থা আদেশ রয়েছে। নাতিন জামাই আরও জানালেন, “স্থিতাবস্থার কারণে জমিটি তখনো হস্তান্তর হয়নি মর্মে অসমর্থিত সূত্রে জানতে পারি। “কিছুদিন এর ১৯৭৯ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও সামরিক শাসন মানে প্রত্যাহার করা হয়। আমার চাকরি জীবনের ৮-৯ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর জীবন-জিন্দেগির একটি ক্রমানুক্রমিক ‘কাহিনি গাঁথা,’ এ কাহিনি এবং আমার অক্ষমতা, শহীদ বরকতের মা’র নামে বরাদ্দ দেওয়া জয়দেবপুরের ওই জমিটির ব্যাপারে মামলা মোকদ্দমা এখনো চলমান।

                লেখক : সাবেক সচিব

সর্বশেষ খবর