বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিদেশে অর্থ পাচার

ব্যাংকিং খাতের দায় সবচেয়ে বেশি

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারের ৮০ শতাংশই ঘটছে ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে। শুধু ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এসব লেনদেনে অর্থের পরিমাণ ছিল ২২ লাখ ৮৫ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি। একই অর্থবছরে অর্থ পাচারের ৫৯টি মামলা হয়েছে। এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে। বিএফআইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্যাংক যদি মানি লন্ডারিং বন্ধে সহযোগিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কারণ একবার মানি লন্ডারিং হয়ে গেলে তা ফেরত আনা কঠিন হয়ে পড়ে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও সহযোগিতার জন্য ১০ দেশের সঙ্গে এমওইউর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো মোট ৩ কোটি ৮৬ লাখ নগদ লেনদেনের তথ্য জমা দিয়েছে। এসব লেনদেনে অর্থের পরিমাণ ছিল ২২ লাখ ৮৫ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২১০ কোটি টাকা লেনদেনের ১ হাজার ২৩৮টি নগদ লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

বিদেশে অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ ডেকে আনছে। বিদ্যমান ডলার সংকটের পিছনে অর্থ পাচার অনেকাংশে দায়ী। মূল্যস্ফীতি দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য যে দুর্ভোগ ডেকে এনেছে পাচারকারীরা তার প্রধান হোতা। অর্থ পাচার বন্ধে ব্যাংকিং খাতের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্য ব্যাংক না রেখে ছোট ছোট ব্যাংকগুলোকে একত্রীকরণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর