শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কিশোর গ্যাং

এ শকুনদের সামাল দিন

দেশের আইনশৃঙ্খলার জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে কিশোর গ্যাং নামে শকুনরা। দেশে এমন কোনো জনপদ খুঁজে পাওয়া দায় যেখানে কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব নেই। ১২ থেকে ১৮-১৯ বছরের কিশোররা এমন কোনো অপরাধ নেই যার সঙ্গে জড়িত নয়। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক দলের নেতা পরিচয়ধারীরা কিশোর গ্যাংয়ে মদদ জোগায়। সম্প্রতি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ থেকে ছয়টি কিশোর গ্যাংয়ের ৫০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-১০-এর একাধিক দল যাত্রাবাড়ী, মীরহাজিরবাগ, ডেমরা, কেরানীগঞ্জ ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এলাকা থেকে তাদের কবজা করে। আটকরা টপবাজ গ্রুপ, গ্যাংস্টার প্যারাডাইস, বয়েজ হাই ভোল্টেজ, দে-দৌড়, হ্যাঁচকা টান ও বুস্টার গ্রুপের সদস্য। তারা চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা, পাড়ামহল্লায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল। এদের কেউ কেউ চুরি-ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধের বাইরে হিরোইজম প্রকাশ করতে পাড়ামহল্লায় কিশোর গ্যাং কালচার গড়ে তুলেছে। এদের কাছ থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপে ব্যবহৃত ১১টি লাঠি, ১৭টি চাকু, পাঁচটি ছোরা, একটি সুইচ গিয়ার চাকু, একটি ছুরি, একটি চাপাতি, একটি চায়নিজ কুড়াল ও একটি ইলেকট্রিক শক মেশিন উদ্ধার করা হয়। রাজধানীর কয়েকটি এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাংয়ের ৫০ সদস্যকে গ্রেফতার অভিনন্দনযোগ্য পদক্ষেপ। তবে রাজধানীতে এ ধরনের কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা কয়েক শ। এগুলোর সদস্য ১০ হাজারের কম নয়। সারা দেশে কিশোর গ্যাং নামে পরিচিত মানুষশকুনের সংখ্যা লাখের কম নয়। যারা ইতোমধ্যে জনজীবনের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছে। বাড়ি বা ভবন নির্মাণ করতে কিশোর গ্যাংকে অর্থ দিতে হয়। ব্যবসা করতে হলে গুনতে হয় মাসভিত্তিক চাঁদার টাকা। সরকারি কর ফাঁকি দেওয়া গেলেও এদের হাত থেকে বাঁচার উপায় থাকে না। দেশের আইনশৃঙ্খলা ভালো চাইলে, অপরাধ দমনে সদিচ্ছা থাকলে কিশোর গ্যাং নামধারীদের সামাল দেওয়ার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর