শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পোশাক শিল্পে মন্দা

খুঁজতে হবে নতুন বাজার

বৈশ্বিক মন্দায় সুখে নেই দু-একটি বাদে আর সব দেশের মানুষ। সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি কাবু হয়ে পড়েছে বিশ্বমন্দার কারণে। সমৃদ্ধির প্রতীক বলে ভাবা হয় যে ইউরোপকে; সেখানেও থাবা বিস্তার করেছে মন্দার ছোবল। এসব দেশের মানুষের জীবনযাত্রায়ও এখন চলছে বুঝে-শুনে খরচের নীতি। যা তাদের জন্য ভালো হলেও বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের দুই শীর্ষ বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। আমদানি হ্রাস করায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে। সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপেও চলছে দুঃসময়। এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ। বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২২ সালে ২ হাজার ১৯১ কোটি ইউরোর পোশাক আমদানি করে। অথচ ২০২৩ সালে সেটি ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭৩৮ কোটি ইউরোতে নেমে এসেছে। তবে রপ্তানিকারকরা বলছেন, বিশ্বে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের ক্রমবর্ধমান সুদের হারে ভোক্তার চাহিদা কমেছে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতাদের খুচরা দোকানে পোশাকের মজুত রয়ে গেছে। এ কারণে নতুন করে পোশাক কিনছেন না তারা। ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭৩৮ কোটি ইউরোর পোশাক আমদানি করেছে জোটভুক্ত দেশগুলো। বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৩৪ কোটি কেজি পোশাক রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে ১৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমিয়ে ১ হাজার ১১৪ কোটি কেজি পোশাক আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় ইউরোপে প্রায় সব পোশাক সরবরাহকারীর রপ্তানি কমেছে। ইউরোপে রপ্তানি ২১ শতাংশ কমলেও এখনো বাংলাদেশ থেকেই তারা সবচেয়ে বেশি পোশাক কিনছেন। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ধস থামাতে নতুন বাজার অনুসন্ধানে উদ্যোগী হতে হবে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলোকে টার্গেট করতে হবে। বাড়াতে হবে পোশাকের বৈচিত্র্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর