শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন

রোজার আগে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনুন

এক পক্ষকাল পরেই মাহে রমজান। রমজানে পিঁয়াজ, ডাল, বেসন, তেল,  খেজুরসহ কিছু পণ্যের চাহিদা বাড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ। এসব পণ্যসহ সব নিত্যপণ্যের দাম এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ এখন সংসার চালাতে সত্যিকার অর্থে সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছেন। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে এ ভয়াবহ সংকটের উদ্ভব। গত দুই বছর দ্রব্যমূল্য বাড়ার ক্ষেত্রে ছিল সত্যিকার অর্থেই একটি খারাপ সময়। এর আগে এক যুগে আর কখনো এমন মূল্যস্ফীতির মুখে পড়েননি নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। গত দুই বছরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। শহর ও গ্রামে উভয় জায়গায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, যা বাংলাদেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারের দুর্দশা বাড়িয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও মন্দাভাব সৃষ্টি হয়েছে দুনিয়াজুড়ে। এর ফলে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটেছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় সমুদ্রে পণ্য পরিবহন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ মানুষের প্রকৃত আয় এবং পারিবারিক কল্যাণ হ্রাস করে। বেতনভোগী নিম্ন-মধ্যম এবং মধ্যম আয়ের পরিবারের জন্য তা দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রাজধানী ঢাকায়। ঢাকায় এ হার ১০ শতাংশের বেশি। ঢাকার বাইরে এ হার সামান্য কম। জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। চাল, আটা, চিনি, ডাল, মাছ, মুরগি, ডিমসহ সব পণ্যের দাম বেড়েছে। বলা হয়, নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে প্রকারান্তরে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস ওঠে। তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম কঠিন হয়ে ওঠে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হলেও এ ক্ষেত্রে সরকারের সাধ ও সাধ্যের পার্থক্যে সাধারণ মানুষ খুব একটা উপকৃত হচ্ছে না। এ অবস্থার মোকাবিলায় রোজাকে সামনে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর