রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিক্ষার্থী নির্যাতন

অপরাধীদের সামাল দিন

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন থামছে না কিছুতেই। এ ব্যাপারে মাঝেমধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে উঠলেও তারাও সম্ভবত অপরাধী চক্রের হাতে জিম্মি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নিপীড়নে বরাবরই অভিযুক্ত থাকেন ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শিক্ষকদের নামেও জমা হচ্ছে অভিযোগের স্তূপ। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে রয়েছে ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগও। শিক্ষার্থী নিপীড়ন, ধর্ষণচেষ্টা, ধর্ষণের মতো বিষয়গুলো প্রায়ই শোনা যায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। খুব কম ঘটনায় জড়িতরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়। আর অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় বেশির ভাগই বেরিয়ে যায় ফাঁকফোকরে। ছাত্ররা বরাবরই ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিপীড়নের শিকার। ছাত্রীরা বেশি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন শিক্ষকদের। ২০০৯ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা নিয়ে রায় দেন হাই কোর্ট। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত ও সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই রায়ের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন করা হলেও নিপীড়িতের অনেকেই এ সম্পর্কে না জানায় অভিযোগ করেন না। অনেক ক্ষেত্রে নিপীড়ক প্রভাবশালী হওয়ায় অভিযোগ করতেও ভয় পান। আবার কারও কারও অভিমত, কমিটির কাছে অভিযোগ করা অর্থহীন। কারণ অপরাধীদের হাত এতই লম্বা যে তাতে জীবন নিয়ে টান পড়ার আশঙ্কা থাকে। নির্যাতনের দিক থেকে শিরোপাধারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের নামে ছাত্রনেতার মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা চালায় তান্ডব। শিক্ষকদের একাংশও যৌন হয়রানিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তাদের শিক্ষকতা পেশায় সুযোগ পাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক যোগ্যতা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, জগন্নাথ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্রই ঘটছে একই অঘটন; যা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে কঠোর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর