বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পুলিশ সপ্তাহ

জবাবদিহি বাড়াতে হবে

পুলিশ সপ্তাহ শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। ‘স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ; শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’-স্লোগান সামনে নিয়ে। পুলিশের হাজার বছরের ইতিহাসে তারা যে এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে স্মার্ট সন্দেহ নেই। পুলিশ বাহিনীর ঐতিহ্য অতি উজ্জ্বল। বাঙালি জাতির সেরা অর্জন যে স্বাধীনতা তার সঙ্গে রয়েছে পুলিশ বাহিনীর সম্পর্ক। দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর গণহত্যা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সে গণহত্যার প্রধান টার্গেট ছিল ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন। ট্যাংক, মেশিনগানসহ ভারী অস্ত্রের হামলা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণের বদলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে তারা। করোনাকালে পুলিশ সদস্যরা মানুষের কল্যাণে যে অবদান রেখেছে তার কোনো তুলনা নেই। তারপরও পুলিশের জনগণের বাহিনী হয়ে ওঠা কিংবা তারা জনবান্ধব ভূমিকা কতটা পালন করতে পারছে তা বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। তবে তেমন চেষ্টা যে চলছে তার প্রমাণ জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’। পুলিশের বিভাগগুলোর মধ্যে সব ধরনের বিতর্কের বাইরে থেকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়ে পুলিশ সপ্তাহের শুরুতেই সব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’। এরই মধ্যে পুলিশের বিশেষায়িত এ ইউনিটটি গণমানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। পাহাড়-সাগর-গহিন জঙ্গল থেকে শুরু করে যে কোনো স্থানেই সংকটে পড়ে থাকা সাধারণ মানুষকে সাহায্যের জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে ৯৯৯। বোদ্ধাজনদের মতে, হয়রানি নয়, নাগরিকের সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হোক পুলিশ সপ্তাহের প্রত্যাশা। বিপদে-আপদে সাধারণ মানুষকে আরও দ্রুত সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ইউনিটকে। একসঙ্গে আরও ১০০ কল রিসিভ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশের অন্যান্য ইউনিটেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছুটা হলেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। জনগণের আস্থা অর্জনে এ ধারাকে জোরদার করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর সাধারণ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের সময় নির্দিষ্টকরণ ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। তবেই জনবান্ধব হয়ে ওঠার ফুরসত পাবে তারা। পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে জবাবদিহি।

সর্বশেষ খবর