বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পরিবহন চাঁদাবাজি

নোংরা দৈত্যদের সামাল দিন

দেশের পরিবহন খাত জিম্মি হয়ে পড়েছে চাঁদাবাজদের কাছে। চাঁদাবাজির কারণে বেড়ে যায় পণ্যমূল্য। যাত্রীদের দিতে হয় বাড়তি ভাড়া।

বিষয়টি সবার জানা থাকলেও দেখার কেউ নেই। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতুতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় স্টিকার লাগিয়ে চাঁদা ওঠায় একটি চক্র। ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’ লেখা এই স্টিকারের আড়ালে প্রতি বৈধ সিএনজি অটোরিকশা থেকে মাসে ২ হাজার টাকা ও অবৈধ অটোরিকশা থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে চক্রটি। এ সড়কে চলাচল করা ৭-৮ হাজার অটোরিকশা থেকে চক্রটি মাসে ২ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে। কেউ টাকা না দিলে মারধরসহ অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে গাড়ি ডাম্পিং করে চক্রটি। ভুক্তভোগী এক চালকের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়- ২০২২ সালের ২৬ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর বুড়িগঙ্গা সেতুর টোল বন্ধ হয়ে যায়। টোল বন্ধ হওয়ার পরই আক্তার, ফয়সাল ও বাবু মহাজন চক্র স্টিকার লাগিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করে। তারা মাসের প্রথম সপ্তাহেই অগ্রিম টাকা দিয়ে স্টিকার দেন চালকদের। চাঁদা না দিলে চালকদের মারধর করে। একই সঙ্গে পুলিশের মাধ্যমে গাড়ি ডাম্পিং করে। পরে টাকা দিয়ে স্টিকার লাগিয়ে গাড়ি ডাম্পিং থেকে বের করে আনতে হয়। তাদের এক কথা- এ সড়কে গাড়ি চালাতে হলে টাকা দিতে হবে, স্টিকার নিতে হবে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সারা দেশে চলছে এমন চাঁদাবাজি। পরিবহন খাতের মালিক ও চালকদের অভিযোগ, প্রতিটি স্ট্যান্ড ঘিরে রয়েছে শ্রমিক সমিতি কিংবা মালিক সমিতির নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠন। আর ওই সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে থাকছেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও প্রভাবশালীরা। এদের সমন্বয়েই গড়ে উঠেছে পরিবহন খাতের চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট। এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে চাঁদাবাজি নেই। চাঁদাবাজ নামের নোংরা দৈত্যদের দাপটে শুধু পরিবহন খাত নয়, সারা দেশের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে সরকারের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। এটি তাদের দায়িত্ব হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর