শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডলার সংকট

উদার নীতি গ্রহণ করুন

ডলার সংকটে ন্যুব্জে পড়েছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। মূল্যস্ফীতির পেছনে তা মদদ জোগাচ্ছে। গিলে খাচ্ছে সরকারের সব সোনালি অর্জন। অথচ এ সংকট উত্তোরণে গত নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং বিদেশ থেকে ডলার আনার ক্ষেত্রে সৃষ্টি করা হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। যা প্রকারান্তরে সংকট জিইয়ে রাখছে। দেশ যখন সর্বনাশা ডলার সংকটে ভুগছে তখন বিদেশ থেকে ডলার আনার ক্ষেত্রে নানা রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। অর্থনীতিবিদরা তাই পাচার অর্থ ফেরত আনার জন্য কোনো ধরনের প্রশ্ন না তোলার পক্ষে। এতে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আসবে। দেশে বিনিয়োগ বাড়বে। কর্মসংস্থান তৈরি হবে। একই সঙ্গে সরকার ডলার সংকট থেকে রেহাই পাবে। দেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে যে ধরনের সমস্যা রয়েছে তার মূলে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট। সংকট কাটিয়ে উঠতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণের প্রবাহ কমে গেছে। ঋণ যে পরিমাণ আসছে পরিশোধ করতে হচ্ছে তার চেয়েও বেশি। টাকার বিপরীতে ডলারের দর বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তারপরও বিদেশ থেকে ডলার আনার ক্ষেত্রে নানা রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে অনেকে সোজা পথে পা বাড়াচ্ছেন না। ফলে জিনিসপত্রের উচ্চ দামের বাড়তি ব্যয় মেটাতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। সংকট উত্তরণে বিদেশ থেকে ডলার আনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রশ্ন না তোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ডলার আনার ক্ষেত্রে সরকারের নমনীয় হওয়া উচিত। টেররিজম ছাড়া অন্য যে কোনো উদ্দেশে ডলার আনলে সেটিকে সমস্যা ভাবা ঠিক হবে না। সন্ত্রাসে অর্থায়নে যারা দেশে ডলার আনে, তাদের সরকারের সংশ্লিষ্টরা চেনে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেসব ডলার দেশে আনে, তাদের অযথা আইনকানুন দেখানোর ফলে আবার ফেরত চলে যায়। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ডলার আনার উদ্যোগ নিলে সে অর্থের উল্লেখযোগ্য অংশ ফেরত আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর