শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বেইলি রোডের অগ্নিকান্ড

ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিন

রাজধানীর বেইলি রোডে এক বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দুই নারী ও সাত শিশুসহ অন্তত ৪৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। এদের মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় ওই ভবনের বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে মানুষ যখন খাবার খাচ্ছিলেন ঠিক তখনই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এর পরই আগুন ধরে যায়। সাত তলা ভবনের একটি ফ্লোরে থাকা কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। রেস্টুরেন্টে আসা শতাধিক মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকে। বাঁচাও বাঁচাও গগনবিদারী চিৎকারে সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভবনে আটকে পড়ে যায় খেতে আসা নারী-শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট। আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিলেও উৎসুক জনতার কারণে তাদের চরম বেগ পেতে হয়। এতে উদ্ধার কাজ ও আগুন নেভানোর কাজও বাধাগ্রস্ত হয়। আগুন নেভানোর সঙ্গে সঙ্গে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই ভবন থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব ঘিরে রাখে ঘটনাস্থল। ৩ প্লাটুন বিজিবি ও আনসার মোতায়েন করা হয়। বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের যে ভবনটিতে আগুন লাগে সেখানে একাধিক রেস্টুরেন্টসহ ইলেকট্রনিক্সের শো-রুম রয়েছে। ফলে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে অতি দ্রুত। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট পর্যায়ক্রমে ছুটে আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অতি দ্রুত অবস্থান নেয় ঘটনাস্থলের চারদিকে। বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান। আহতদের সুচিকিৎসারও নির্দেশ দেন তিনি। এ ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, অগ্নিকান্ডের কারণ ও দায় নির্ধারণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর