শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি

অপচয় বন্ধের উদ্যোগ নিন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ যখন দিশাহারা ঠিক সে মুহূর্তে বাড়ল বিদ্যুতের দাম। ইউনিটপ্রতি দাম বেড়েছে গড়ে ৭০ পয়সা। তবে বাসাবাড়িতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যারা কম ব্যবহার করবেন তাদের ইউনিট প্রতি ২৮ পয়সা ও সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের জন্য বেড়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন দফায় প্রতি মাসে গড়ে ৫ শতাংশ করে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। নতুন দর অনুযায়ী সেচে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ২৫ পয়সা করা হয়েছে। নিম্নচাপে ২৩০/৪০০ ভোল্ট বাণিজ্যিক ও অফিসে গড় দাম ১১ টাকা ৯৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৩ টাকা ১ পয়সা করা হয়েছে। মধ্যম চাপের ১১ কিলো ভোল্টের ক্ষেত্রে করা হয়েছে গড়ে ১১ টাকা ৬৩ পয়সা। উচ্চ চাপে (৩৩ কিলো ভোল্ট) শিল্পের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট গড়ে ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। আর অতি উচ্চ চাপে (১৩২ ও ২৩০ কিলো ভোল্ট) ৯ টাকা ৬৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৬৬ পয়সা করা হয়েছে। ভারী শিল্পকারখানা মূলত এ শ্রেণির গ্রাহক। এ ছাড়া শিক্ষা, ধর্মীয়, হাসপাতাল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ৬ টাকা ৯৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৫৫ পয়সা করা হয়েছে। বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বৃদ্ধির ফলে জনজীবনে তার নেতিবাচক প্রভাব যে পড়বে তা এক অনিবার্য সত্য। এটি মনে রেখেই দৃশ্যত সরকার সাধারণ মানুষের কাছে অপ্রিয় বলে বিবেচিত হবে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। আইএমএফসহ ঋণদাতা সংস্থাগুলোর ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ গলাধঃকরণের পরও বিদ্যুৎ খাতে যে ভর্তুকি থাকবে তা অঙ্কের হিসাবে বিশাল। আমরা আশা করব, আগামীতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বদলে এখন থেকেই সাবধানী ভূমিকা পালন করা হবে। ব্যাটারি রিকশা এবং এ-জাতীয় যানবাহনে ব্যবহৃত বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের চুরি ও অপচয় বন্ধ করা গেলে শত শত কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর