সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

উন্নয়নশীলে উত্তরণ

তিন বছর পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা

স্বল্পোন্নত দেশগুলো তাদের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। যে সুবিধা স্বাধীনতার পর থেকেই পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। দুনিয়ার সবচেয়ে গরিব দেশ থেকে বাংলাদেশের শিরস্ত্রাণে এখন উন্নয়নশীল দেশের তকমা। এর ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দেশের রপ্তানি খাত। আশার কথা, উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হওয়ার পর আরও তিন বছর রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা ডব্লিউটিওর সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে ২০২৬ সাল থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ববাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। আবুধাবিতে শুক্রবার শেষ হওয়া ডব্লিউটিওর ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের খসড়া ঘোষণায় নেওয়া হয় এই তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বিশ্ববাণিজ্যের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এবারের সম্মেলনে ১৬৪টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরও শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, কৃষি ও মৎস্য খাতে ভর্তুকি এবং মেধাস্বত্ব সুবিধা বহাল রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের তৎপরতা সফল হয়। সম্মেলনে সদ্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য স্বল্পোন্নত দেশের সব শুল্ক সুবিধা কার্যকর রাখা না গেলেও সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও পণ্যের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখার ব্যাপারে সম্মতি দেওয়া হয়। ফলে সম্মেলনের খসড়া ঘোষণায় তা স্থান পায়। এ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ১৪তম সম্মেলনে উত্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ আর দুই বছর পর অর্থাৎ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হবে। তারপরও তিন বছর রপ্তানি ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। অর্থাৎ বর্তমান সরকারের পুরো মেয়াদটাই এ সুবিধা ভোগ করা যাবে। তবে এখন থেকেই শুল্কমুক্ত সুবিধা ছাড়াই বহির্বিশ্বে পণ্য রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে নিতে হবে উদ্যোগ। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ এক্ষেত্রে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

সর্বশেষ খবর