মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ

আরওয়া আজাদ

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ

ফিলিস্তিনিরা অসহায়ভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন ইসরায়েলি হানাদারদের হাতে। চারদিকের সব আরব দেশই মুসলিম অধ্যুষিত। কিন্তু শিয়া অধ্যুষিত ইরান এবং ইয়ামেন ও লেবাননের শিয়া গ্রুপগুলো বাদে অন্য সব দেশ চাচা আপন প্রাণ বাঁচা নীতি গ্রহণ করেছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের স্বঘোষিত সোল এজেন্ট পশ্চিমা দেশগুলো মুখে কুলুপ এঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র তো ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে একাধিকবার ভেটো দিয়েছে। নানা ছুঁতোয় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় নগ্নভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই দুঃখ সহ্য করতে পারেননি মার্কিন বিমান বাহিনীর সদস্য অ্যারন বুশনেল। এ অন্যায়ের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে আগুন দেন। আর সেই আত্মাহুতির আগে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনি শিশুদের নিজের সব সম্পদ দান করে গেছেন বুশনেল। এ জন্য লিখিতভাবে একটি উইল বা দানপত্র সম্পন্ন করে গেছেন। ২৫ বছর বয়সী অ্যারন বুশনেল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে আগুন দেন। সেই ভিডিওটি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারও করেন। সেই সময় তিনি ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বলেও স্লোগান দেন। বুশনেল তার সঞ্চিত সব অর্থ প্যালেস্টাইন চিলড্রেনস রিলিফ ফান্ড নামে একটি দাতব্য সংস্থায় দান করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গাজায় মানবিক চিকিৎসা ও ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে। গায়ে আগুন দেওয়ার আগে বুশনেল চিৎকার করে বলেন, ‘আমি আর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকব না, থাকতে চাই না। অ্যারন বুশনেলের আত্মাহুতি প্রমাণ করেছে আব্রাহাম লিংকনের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শাসকরা ইহুদিবাদীদের কাছে নিজেদের বিবেককে বিক্রি করে দিলেও সে দেশে মানবিক চেতনাসম্পন্নদের সংখ্যা কম নয়।

এমনকি সে দেশের সেনাবাহিনীতে শিশু নারীসহ নিরপরাধ মানুষের হত্যাকান্ড মেনে নেওয়ার বদলে নিজের প্রাণ বিসর্জনের মতো লোকও আছে। অ্যারন বুশনেলের আত্মহনন, ইহুদিবাদীদের হত্যাযজ্ঞের মুখে নীরব থাকা ফিলিস্তিনের ধারে কাছের ধনী দেশগুলোর জন্য লজ্জা ডেকে এনেছে। অভিবাদন এই মহাবীরকে। 

 

সর্বশেষ খবর