বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রিজার্ভের অর্থ চুরি

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে রায়

নিউইয়র্ক ফেড থেকে বাংলাদেশের ৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন আরসিবিসিসহ ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জড়িত। নিউইয়র্ক স্টেট কোর্ট, ফার্স্ট অ্যাপিলেট ডিপার্টমেন্ট গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এমন রায়ই দিয়েছেন। রায়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির সঙ্গে আরসিবিসি, আরসিবিসির লরেনজো ট্যান এবং রাউল ভিক্টর বি ট্যান ও কিম অং-এর সংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত স্টেট কোর্টের রায়কে ফার্স্ট কোর্ট নিশ্চিত করেছে। ফার্স্ট কোর্টের রায়ে আরও নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সংঘটিত অপরাধের জন্য আলোচ্য বিবাদীদের দায়ী করা যায়। রায়ে বলা হয়েছে, প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আরসিবিসি ও ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, লরেনজো ট্যান এবং রাউল ভিক্টর বি ট্যান ও কিম অং-কে দায়ী করা যেতে পারে। বিবাদীরা চুরিকৃত অর্থ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল এবং ওই অর্থ ফেরত প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টপ পেমেন্ট অনুরোধ পাওয়া সত্ত্বেও তা বৈদেশিক মুদ্রা ও আরসিবিসির ট্রেজারির মাধ্যমে লন্ডারিং করার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই এ বিবাদীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। অধিকন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টপ পেমেন্ট অনুরোধ পাওয়া সত্ত্বেও আরসিবিসির বেনামি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার স্থানান্তর করা হয়েছে এবং এটি যে বাংলাদেশ ব্যাংকের     চুরি যাওয়া অর্থ এ বিষয়ে সন্দেহাতীতভাবে আরসিবিসির সবাই অবহিত ছিলেন।

নিউইয়র্ক স্টেট কোর্টের ফার্স্ট অ্যাপিলেট ডিপার্টমেন্ট বলেছেন, আরসিবিসির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে আদালত প্রভাবিত হয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক যথোপযুক্তভাবে কিম অং-এর বিরুদ্ধে চুরি ও মানি লন্ডারিংয়ের ষড়যন্ত্রে ফিলিপিনো ব্যাংক ও তাদের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে। অভিযুক্তরা বেনামি হিসাব সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং চুরি যাওয়া অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দানের উদ্যোগ নেননি। এ রায়ের ফলে রিজার্ভের অর্থ চুরিতে বাংলাদেশের যুক্তি প্রতিষ্ঠিত হলো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর