শিরোনাম
রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রমজানে পণ্যমূল্য

দুর্ভোগের শিকার হবেন ভোক্তারা

রমজানে ইফতার-সাহরিতে ব্যবহৃত পণ্যের দাম ইতোমধ্যে আকাশ ছোঁয়ার উপক্রম। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খেজুর, চিনি, তেলসহ রোজায় ব্যবহৃত পণ্যের দাম বাড়বে না। কিন্তু নতুন পিঁয়াজ সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে অন্য বছরের একই সময়ের চেয়ে পাঁচ গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কিছুদিন আগে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও তা ইতোমধ্যে ৭৫০ টাকা ছুঁয়েছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, রোজার মাসে ৮০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। প্রথা অনুযায়ী রোজার আগেই দুই-এক দিনের বাজার আগেভাগে সারেন রোজাদাররা। গত শুক্রবার খেজুর, ছোলা, পিঁয়াজ, রসুন, ডাল, চিনি কিনতে গিয়ে হতাশায় ভুগেছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের বেশির ভাগই নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত দাম নিয়ে অভিযোগ শুধু নয়, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ, রোজার জন্য কাঁচাবাজারের অধিকাংশ পণ্যের দাম ছিল বাড়তি। ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে বললেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। এর বিপরীতে বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বেশি থাকার কারণে সবকিছুর দাম বাড়তি। বাজারে মানভেদে দেশি পিঁয়াজ ৯০ থেকে ১১০, লাল ও সাদা আলু ৩৫, নতুন দেশি রসুন ১৫০, বিদেশি রসুন ২০০, ভারতীয় আদা ২২০, চীনা আদা ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি রসুনের দাম ১০ টাকা এবং আলুর দাম ৫ টাকা বেড়েছে। আর ছোট মসুরের ডাল ১৪০, মোটা দানা মসুরের ডাল ১১০, বড় মুগডাল ১৫০ থেকে ১৬০, ছোট মুগডাল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। বুটের ডাল ১১০ থেকে ১১৫, ছোলা ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে বড় মুগডাল ১০, ছোট মুগডাল ২০, খেসারির ডাল ৫, বুটের ডাল ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, চিনির দাম আরও বাড়তে পারে। চিনিতে শুল্ক কমলেও দাম না কমে ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানে প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কষ্টে পড়বে স্বল্প আয়ের মানুষ। উৎকোচভোগী এবং অঢেল অর্থের মালিক ছাড়া সবার জন্য নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য অপরিসীম দুর্ভোগ বয়ে আনবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর