সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

মৃত্যু উপত্যকায় বসবাস

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

মৃত্যু উপত্যকায় বসবাস

ছাত্রজীবনে তথা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় ভারতীয় বাঙালি কবি নবারুণ ভট্টাচার্যের একটি কবিতা আমাদের আলোড়িত করেছিল। কবিতাটির শিরোনাম ছিল ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’। স্বৈরাচার ও শাসকদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে এই কবিতায় লেখা প্রতিটি শব্দ ছিল মনে আগুন জ্বালানোর মতো। ২০১৪ সালের ৩১ জুলাই মরণঘাতী ক্যান্সারের কাছে পরাজয় মেনে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান বিপ্লবী এই কবি। তার মৃত্যুর পর ক্রমেই আমাদের এই উপমহাদেশে বিপ্লবী কবি ও কবিতার অকাল দেখা যায় বলে অনেকের ধারণা। কেউ বলেন, নিত্যনতুন আইনের খড়গ, কেউ বলেন লোভের কাছে বিক্রি, আবার কেউ বলেন সব দেখেশুনে নিজ ও নিজ পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্ব-আরোপিত সেন্সরশিপ কবিদের কলম থামিয়ে দিয়েছে। কবি নবারুণ ভট্টাচার্য ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘যে ভাই এখনো নির্লজ্জ স্বাভাবিক হয়ে আছে, আমি থাকি ঘৃণা করি-যে শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কবি ও কেরানি প্রকাশ্য রাজপথে এই হত্যার প্রতিশোধ চায় না, আমি তাকে ঘৃণা করি।’ বেইলি রোডের সাম্প্রতিক অগ্নিকান্ডের ফলে অবহেলাজনিত হত্যাকান্ডের পর মনে হচ্ছিল ৪৬টি পোড়া আত্মা যেন ক্রমেই বলে চলেছে ‘ঘৃণা করি-ঘৃণা করি-ঘৃণা করি’।

২০০০ সাল থেকে বিগত দুই যুগে বড় আকারের বেশকিছু অবহেলাজনিত হত্যাকান্ড বিশেষত অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতি ও বীভৎসতা ছিল আঁতকে ওঠার মতো। ২০০০ সালে চৌধুরী নেটওয়ার্কে ৫৩ জনের মৃত্যু, ২০০১ সালে সাইকো সোয়েটার কারখানায় ২৪ জনের মৃত্যু, ২০০৫ সালে স্পেকট্রাম ধসে ৬৪ জনের মৃত্যু, শন নিটিংয়ে ২৩ জনের মৃত্যু, নিসকো সুপার মার্কেটে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা বেশ আলোড়ন তুলেছিল। ২০০৬ সালেও চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ডে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে কিছু মর্মস্পর্শী ভয়াবহ অগ্নিকান্ড দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলকে মৃত্যু উপত্যকা রূপে পরিচিত করে। ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নবাবকাটরার নিমতলী মহল্লায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের রাসায়নিক গুদামে। ফলে আগুনের ব্যাপকতা কেড়ে নেয় ১১৯ প্রাণ। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অবস্থিত তাজরীন ফ্যাশনের অগ্নিকান্ডে ১১৭ জন পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের ভয়াবহ ও করুণ চিত্র তুলে ধরে। ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় (২৪ এপ্রিল ২০১৩) ঢাকার পশ্চিমে সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে রানা প্লাজা ধসে ১১৩২ জন পোশাক শ্রমিক নিহত হন। আন্তর্জাতিক চাপ বিশেষত তৈরি পোশাক আমদানিকারকদের কঠোরতায় এরপর নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বাধ্য হয় পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ।

২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আবারও পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় একটি আবাসিক ভবনের নিচে থাকা রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭১ জন প্রাণ হারায়। পাঁচ বছরেও এমন অবহেলাজনিত মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচার শুরু হয়নি (সূত্র : কালের কণ্ঠ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। নিমতলী ও চুড়িহাট্টা ঘটনার পর একটি মাত্র ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ঢাকা সিটি করপোরেশন (দক্ষিণ) থেকে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবসার লক্ষ্যে শ্যামপুরে অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম প্রকল্পে স্থানান্তরিত হয় এবং যথারীতি রাসায়নিক পণ্যের ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি নবায়ন করে (সূত্র : দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ৩ মার্চ ২০২৪)। এমতাবস্থায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩১০ একর জমির ওপর প্রায় সমাপ্তির পথে থাকা রাসায়নিক গুদামগুলোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পুরান ঢাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পরিচালিত রাসায়নিক গুদাম এলাকার মানুষের জীবনকে রেখেছে ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে। মৃত্যু উপত্যকায় থাকাও যেন আমাদের অধিকারে পরিণত হয়েছে। ঢাকার বাতাস বিষাক্ত, শিশুরা হাসপাতালে অনিরাপদ, রাসায়নিক রং দেওয়া খাবার ও পানীয় দেদার গ্রহণ করছি আমরা, ওষুধেও ভেজাল। তারপরও এই ঢাকায় বাড়ি না থাকলে নতুন আত্মীয়তা জমে না। কারণ মৃত্যু উপত্যকায়ই যেন আমাদের জগৎ, আমাদের আভিজাত্য।

স্থাপত্য জগতে বাংলাদেশের অহংকার স্থপতি ফজলুর রহমান খান, সংক্ষেপে এফ আর খান। ষাট দশকে আমেরিকায় তার ডিজাইন করা এক একটি বহুতল ভবন বিশেষত আমেরিকার শিকাগোতে নির্মিত উইলস টাওয়ার নির্মাণ উৎকর্ষতা ও নিরাপত্তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ১৯৭৩ সালে উদ্বোধনের সময় এটি ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন। এমনকি আজও তা পশ্চিম গোলার্ধের অন্যতম উঁচু ও নিরাপদ ভবন হিসেবে সমাদৃত। স্থাপত্যবিদ্যা চর্চায় এই ভবন নিয়ে আজও আলোচনা হয়। আর তারই জন্মভূমি ঢাকায় স্থাপত্যবিদ্যা ও নিরাপত্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কীভাবে ইমারত বানাতে হয়, তার নিকৃষ্ট উদাহরণ বনানীর একটি ভবন। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ এই বহুতল ভবনে লাগা আগুনে ২৬ জন নিহত ও ৭০ জন আহত হন। পরবর্তীতে জানা যায় নকশাবহির্ভূত নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী নির্বাচনে যথাযথ মান নিশ্চিত না করায় এমন দুর্ঘটনা।

২০২১ সালের ৮ জুলাই বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকার হাশেম ফুড লিমিটেডের কারখানায় সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে ৫৪ জনের মৃত্যু ঘটে। মৃতদের মধ্যে অনেকেই ছিল শিশু। বিভিন্ন মহলের তদন্তে প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল মূল নকশা না মানা, শর্ত ভঙ্গ করে অন্য পণ্য উৎপাদন, অনুমতি ছাড়া কারখানা সম্প্রসারণ, অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না রাখা ইত্যাদি। এসব অনিয়ম খুঁজে পেতে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারি কমিটির সময় লেগেছে প্রায় দেড় বছর। তবে মজার বিষয় হলো, আদালতে দেওয়া বিভিন্ন মহলের তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায় যে, এত সব অবহেলাজনিত হত্যাকান্ডের জন্য মালিক পক্ষ বা তার স্বজনরা কোনোভাবেই জড়িত নয়। অথচ বছরের পর বছর তারাই এই কারখানা থেকে মুনাফা নিয়েছেন (সূত্র : প্রথম আলো, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩)।

২০১০ সালের ৩ জুন ঢাকার নিমতলী অগ্নিকান্ডের (৪ জুন ২০০০) এক দশক পূর্তির দিনে আবারও ভয়াবহ আগুন লাগে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। এ সময় স্থানীয় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ফলে সেখানে থাকা বেশকিছু কনটেইনারে মজুত রাসায়নিক দ্রব্য ও দাহ্য পণ্যে আগুন লাগে। এর ফলে ৯ দমকল কর্মীসহ মোট ৪৫ জন প্রাণ হারান। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রায় সমান সংখ্যক যাত্রী প্রাণ হারান ঝালকাঠির বুকে সুগন্ধা নদীতে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লাগার ফলে।

অবহেলাজনিত এমন হত্যাকান্ডের নতুন উদাহরণ সৃষ্টি হলো বেইলি রোডে। ছাত্রজীবনে এই বেইলি রোডে যাওয়া হতো বই পড়া আর মঞ্চনাটক দেখার নেশায়। চিন্তার জগতে পেরেক মারার মতো বই আর বিবেককে চাবুকপেটা করার মতো নাটকের সংলাপকে স্বৈরাচাররাও তখন ভয় পেত। পরবর্তীতে রমজান মাসে অন্তত একবার হলেও যাওয়া হতো শখের ইফতার কেনার জন্য। এরপর শুরু হলো সুউচ্চ অট্টালিকা গড়ার প্রতিযোগিতা। নাটকের নান্দনিকতা আর বইয়ের বিবেককে পাশ কাটিয়ে নগদ প্রাপ্তির আশায় কেবলই ওপরের দিকে উঠতে থাকল বেইলি রোডের সুউচ্চ ভবনগুলো। একই ভবনে কয়েক ডজন রেস্তোরাঁ ছিল। রান্নার জন্য ব্যবহৃত বিপজ্জনক গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হতো বের হওয়ার জরুরি পথ বা সিঁড়িতে। ফলে সামান্য অগ্নিকান্ড মুহূর্তেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে এবং ৪৬ জনের প্রাণ কেড়ে নেয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে।

এখন দেখা যায় ঢাকার যত্রতত্র গড়ে ওঠা বহু রেস্তোরাঁর অনুমোদনই নেই। তাদের অগ্নি প্রজ্বালন ব্যবস্থা তৈরি করেছে এক একটি মৃত্যুকূপ। অথচ আমরা তা আদৌ আমলে না নিয়ে কেবলই ব্যস্ত রয়েছি যার যার কর্ম নেশায়। মুকেশ আম্বানি তার সন্তানদের পকেট মানি বা টিফিন কেনার টাকা এত কম দিতেন যে, বন্ধুরা তাদের ফকির বলে ডাকত। মা নীতা আম্বানি তা শুনে হাসতেন, কিন্তু টাকার অঙ্ক বাড়াতেন না। আজ সেই সন্তানরা আম্বানি শিল্প পরিবারের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তারা আম্বানি শিল্পগোষ্ঠীর এক একটি শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অত্যন্ত সফলভাবে। আর ঢাকার সুউচ্চ ভবনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অবৈধ রেস্তোরাঁগুলো আজ যেন অনেক মা-বাবার অবৈধ পথে অর্জিত অবৈধ অর্থ খরচের অবৈধ ও বিপজ্জনক কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। এই অপসংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে নগদ লাভের আশায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে অবৈধ এবং অনিরাপদ রেস্তোরাঁর সংখ্যা ও পরিধি।

সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর একটাই যুক্তি-জনবল সংকট। অথচ এই স্বল্প জনবল একটি অগ্নিকান্ড বা দুর্ঘটনা ঘটার আগের মাসে যতটুকু ক্ষমতা ছিল ঠিক ততটুকু প্রয়োগ করে কতটুকু বা কী করেছেন, তার জবাব মেলে না।

কিছুদিন আগে ঢাকার একটি এলাকায় গাড়ি নিয়ে ঢুকতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলাম। আগে কোনো ধারণা না থাকায় গাড়ি সামনে- পেছনে কিংবা ডানে-বাঁয়ে যাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। তখন সব রিকশাচালক ও অটোচালকের শ্যেন দৃষ্টিতে কেবলই জিজ্ঞাসা, গাড়ি নিয়ে এই পথে ঢুকেছেন কেন? অথচ সব রাস্তায় গাড়ি চলবে ধরে নিয়েই সরকার রোড ট্যাক্স নিয়ে থাকে। সেটা বড় বিষয় নয়। বিষয় হলো আগুন লাগলে বা কারও অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন হলে কী হবে? সেদিন শেষ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে নির্দিষ্ট বাসায় পৌঁছলাম। তাদের অন্যত্র অ্যাপার্টমেন্ট থাকলেও মহল্লায় থাকার মজা তারা ত্যাগ করতে রাজি নন।

মহল্লায় থাকা দোষের কিছু নয়, তবে তা হতে হবে নিরাপদ। যেমনটা দেখেছি ওমান ও কাতারে। সেখানকার ঐতিহ্যবাহী পুরনো বাজারের ইমারত ও দোকান অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। তবে প্রতিটি ভবনে ও দোকানে অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আকাশপথে হেলিকপ্টারযোগে রোগী পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেস্তোরাঁর সিলিন্ডারের নিরাপত্তায় চারদিকে ভারী দেয়ালসহ বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থাও লক্ষ্য করার মতো। আমাদের বিশেষজ্ঞরা এসব কিছু জানেন ও দিকনির্দেশনা দেন। কিন্তু বাস্তবে তা কমই প্রয়োগ হয়ে থাকে। যুক্তি একটাই-জনবল সংকট। ধরা যাক ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয় এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কথা। পর্যাপ্ত জনবল নেই বলে প্রতিষ্ঠানটি প্রায়ই বলে থাকে। অথচ একটি ফাইল নিয়ে ওই ভবনে ঢুকলেই মৌমাছির মতো জনবল এগিয়ে আসে সেবা (?) দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে। একটি ভবন নির্মাণের সময়ও দলে দলে সরকারি পরিদর্শক আসে, নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়, আবার তারাই পথ বাতলে দেয়। অথচ কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই জনবলের প্রবল সংকটের বিষয়টি বারবার উচ্চারিত হয়।

আমরা যেন ক্রমেই অবুঝ হয়ে পড়েছি। নতুন ঘটনা ঘটলেই পুরনো সব ধামাচাপা পড়ে যায়। আমরা সব ভুলে যাই।  শেষ করব হিটলারকে নিয়ে প্রচলিত একটি গল্প বলে। একদা হিটলার এক পার্লামেন্ট বা নীতিনির্ধারণী সভাকক্ষে ঢুকে পড়েন। তার সঙ্গে ছিল একটি মুরগি। তিনি একটি একটি করে জ্যান্ত মুরগির প্রতিটি পালক তুলছিলেন। অন্যদিকে যন্ত্রণায় চিৎকার করছিল সেই অসহায় মুরগি। সব পালক তোলা শেষ হলে হিটলার মুরগিটি মেঝেতে ছেড়ে দিলেন। এরপর পকেট থেকে শস্যদানা বের করে মেঝেতে ছিটিয়ে দিলেন। মুরগিটি চিৎকার বন্ধ করে দিব্যি শস্যদানা খেতে লাগল এবং খাবার শেষ হয়ে গেলে হিটলারেরই পায়ের কাছে চলে গেল আরও কিছু খাবারের আশায়। হিটলার সভায় উপস্থিত সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন- ‘বুঝলে তোমরা’?

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

Email: [email protected]

সর্বশেষ খবর