সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

সীমান্তে আর হত্যা নয়

ঢাকা-দিল্লি ঐকমত্য প্রশংসার দাবিদার

সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালকরা। বাংলাদেশ ও ভারত ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি রক্ত ঝরিয়েছেন। পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিত্রবাহিনীর অবদান অবিস্মরণীয়। দুই দেশের যোদ্ধাদের রক্ত বন্ধুত্বের যে রাখিবন্ধন বেঁধেছে তা অমরতার দাবিদার। সীমান্ত হত্যা বন্ধুত্বের সম্পর্কে কালো ছায়া ফেলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ অনাকাক্সিক্ষত অবস্থার অবসানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলিতে যেন আর কারও প্রাণ না যায়, সে ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। রাজধানীর পিলখানায় ‘বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলন’ শেষে এ কথা জানিয়েছে উভয় পক্ষ। পাঁচ দিনের সম্মেলনের শেষ দিন শনিবার সকালে পিলখানার শহীদ আশরাফ মিলনায়তনে প্রতিনিধি দল নিয়ে হাজির হন দুই বাহিনীর মহাপরিচালক। পরে সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি ও বিএসএফ মহাপরিচালক কথা বলেন। তারা জানান, দুই পক্ষ একমত হয়েছে যে, এখন থেকে সীমান্তে কোনো হত্যা নয়। প্রাণসংহারী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নীতিতে পৌঁছেছেন তারা। এ নীতির কার্যকর সুফল পেতে দুই পক্ষই সীমান্তে যৌথ টহল বাড়ানো, তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময় করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সীমান্তে মৃত্যু বন্ধ, চোরাকারবার, মানব পাচারসহ সব ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। উভয় পক্ষ সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যথাযথ ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের বিষয়ে তারা একমত হন। সীমান্ত হত্যা বন্ধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঐকমত্য তাৎপর্যের দাবিদার। এ ঐকমত্য যাতে ভঙ্গ না হয়, সে ব্যাপারে উভয় পক্ষকে যত্নবান হতে হবে। সীমান্তে রক্তপাতের অন্যতম কারণ চোরাচালানিদের অপতৎপরতা। তা রোধে ঢাকা-দিল্লি দুই পক্ষের নজরদারি বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর