বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

সোমালি দস্যুতা

জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করুন

ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালীয় দস্যুদের কবলে পড়েছে। সশস্ত্র দস্যুরা ২৩ নাবিককে জিম্মি করে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছে। জাহাজটির মালিক চট্টগ্রাম ভিকি শিল্পগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে তাদের নৌযান এমভি আবদুল্লাহ জলদস্যুর কবলে পড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাজের নাবিকরা নিরাপদে রয়েছেন। জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে জাহাজটির মালিক পক্ষ। মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। সোমালিয়া থেকে প্রায় ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে গালফ অব ইডেনে জাহাজটিতে হামলা করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। প্রায় ৫০ জলদস্যুর প্রত্যেকের হাতেই ছিল ভারী অস্ত্র। তারা হামলার পর জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেছেন, জিম্মিদের মধ্যে এক নাবিকের একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পেয়েছেন। মেসেজে তিনি বলেছেন, জলদস্যুরা জাহাজটির দখল নিয়েছে। নাবিকদের কেবিনের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের কাছে ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এস আর শিপিং করপোরেশনের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই সময় ২৬ নাবিক ছিলেন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটিতে। তিন মাস পর মুক্ত হয়ে জাহাজটি সোমালিয়া থেকে ওমানের সালালা বন্দরে যায়।

একটি ছোট উড়োজাহাজে করে সোমালিয়ার জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়। সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে এক যুগ পর আবারও একটি বাংলাদেশি জাহাজ আটকের ঘটনা উদ্বেগজনক। আমরা আশা করব জাহাজ মালিকসহ সরকারের পক্ষ থেকে জাহাজসহ নাবিকদের দ্রুত মুক্ত করার জন্য সম্ভব সব চেষ্টা করা হবে। ভারত মহাসাগরে সোমালীয় দস্যুদের তৎপরতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তৎপর হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর