বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল

বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘর্ষে রাখাইন ও চীন রাজ্যে বিদ্রোহীরা রয়েছে দাপটের সঙ্গে। জান্তা সরকারি বাহিনী বহু ক্ষেত্রেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েক শ সৈন্য বিদ্রোহীদের কাছে কোণঠাসা হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তের ‘ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল’ হয়ে উঠছে আরও ভয়ংকর। মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার জন্য কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাটি বহু বছর ধরে রয়েছে কুখ্যাতির তুঙ্গে। কিন্তু ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেলের মিয়ানমার অংশের সিংহভাগ আরাকান আর্মি দখলে নেওয়ার পর সম্প্রসারণ হতে শুরু করেছে অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ত্রিদেশীয় সীমান্তের ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় কোনো দেশেরই কার্যত নিয়ন্ত্রণ নেই। এ সুযোগে ওই এলাকায় অস্ত্র ও মাদক ব্যাপক হারে বেচাকেনা হচ্ছে। বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজারের কিছু দুর্গম এলাকা ছাড়াও ভারতের মিজোরাম রাজ্য এবং মিয়ানমারের চীন ও রাখাইন রাজ্যের অংশ নিয়ে গঠিত ‘ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল’। যার বেশির ভাগ পড়েছে মিয়ানমারের চীন ও রাখাইন রাজ্যে। একসময় আরাকান আর্মি-ব্রাদারহুড, কাচিন ডিফেন্স আর্মি কেডিআই, কাচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সিএনএফ, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি আরসা, চীন ন্যাশনাল আর্মি, কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ, চীন ডিফেন্স ফোর্স-সিডিএফ, চীন-লিবারেশন আর্মি, মিজু ন্যাশনাল ফ্রন্ট-এমএনএফসহ কমপক্ষে ১৫টি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু ছয় মাস ধরে মিয়ানমারের চীন ও রাখাইন রাজ্যে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করছে আরাকান আর্মি। সরকারি বাহিনী হটিয়ে আরাকান রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকা দখলে নিয়েছে তারা। মিয়নমারের জান্তা সরকারের জেনালেররা এক সময় ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেলের মাদক ব্যবসার ভাগ পেত। এখন আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহীরা নিজেদের কর্মকান্ডের অর্থ জোগাতে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় মদদ জোগাতে পারে।

এ বিপদ ঠেকাতে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর