সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

নারী নিপীড়ন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতরমুক্ত হোক

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী নিপীড়নের ঘটনা অহরহ ঘটছে। ব্ল্যাকমেলিংয়ের ফাঁদে পড়ে প্রায়শই যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন কোনো না কোনো নারী শিক্ষার্থী। দেশে উচ্চশিক্ষার পীঠস্থানে কিছু অসভ্য বর্বর কীভাবে যেন ঠাঁই পেয়ে যাচ্ছে শিক্ষক হিসেবে। নষ্ট ছাত্ররাজনীতির সারথিরা প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবহার করছে পৈতৃক প্রতিষ্ঠানের মতো। ছাত্রছাত্রীদের তাদের হুকুম তামিলের গোলাম বানাতেও তৎপর। এ মুহূর্তে বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নির্যাতন-নিপীড়নে নিজেদের পারিচিতকে কলুষিত করছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যা নিপীড়নের বিষয়টি আবারও প্রকাশ্যে এনেছে। এ ঘটনায় জগন্নাথের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকী নামের এক সহপাঠীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাদের দুজনকে দায়মুক্ত করতে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছে এটি একটি ওপেন সিক্রেট। সম্প্রতি ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, ইসলামী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাময়িক বহিষ্কার ছাড়া কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। বড় অপরাধে ছোট মাত্রার শাস্তি হওয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিন দিন ছাত্রী নিপীড়নে কলুষিত হয়ে উঠছে। দু-একটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও অভিযোগ রয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার না পাওয়ার। বিচার না পেয়ে দিনের পর দিন ট্রমার শিকার হন ছাত্রীরা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি গড়ায় আত্মহত্যা পর্যন্ত। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, স্কুল-কলেজ-মাদরাসা কোথাও নারী শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। এ অসভ্য বর্বর অবস্থার ইতি ঘটাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সবকিছুর আগে সভ্যতার সবক অর্জন করতে হবে। দেশবাসীর ট্যাক্সের টাকায় যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলে সেহেতু এগুলোকে ইতরমুক্ত করার কাজে সরকারকে সক্রিয় হতে হবে। এটি তাদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর