মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

একজন সংশপ্তক : খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

একজন সংশপ্তক : খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন

ক্রমাগত তাগিদে এলোমেলো ভাবনার সুতাগুলো, কী লিখব? কোত্থেকে শুরু করব? শেষ না হয় জানি, জীবিত সিঙ্গাপুরে যাওয়া এবং নিথর নিঃস্তব্ধ হয়ে ফিরে এসে পাঁচুরিয়ার মাটির বিছানায় অনন্ত বিশ্রামে চলে যাওয়া এক চেনা মানুষ। কত মাস, বছর, যুগের হৃদয়ের গভীর চোখে চেনা একজন ক্লান্তিহীন মানুষ। নিষ্পাপ শৈশব, দুরন্ত কৈশোর আর তেজোদ্দীপ্ত যৌবনের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল আশি বছরের যুবক একজন মানুষের সমগ্র সত্তায়। কী এক জাদুকরী ব্যক্তিত্ব! তাঁর সঙ্গে রাগ করা যায়; কিন্তু অশ্রদ্ধা করা যাবেই না। ঘৃণার তো প্রশ্নই আসে না। অথচ খুব সহজেই যে কেউ বুঝতে পারবে তাঁকে। কারও সঙ্গে তিনি আন্তরিক, রাগী কখন কারও সঙ্গে। নীতি এবং বিশ্বাসবোধের ভিত্তি কতটা দুঃসাহসী এবং অনমনীয় করতে পারে একজন মানুষকে, তার বিরল দৃষ্টান্ত তিনি। রাজনীতিতে এলপিআরএ যাওয়া এক নিভৃতচারী আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর কাছে এবং দূর অতীতের ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত তিনি। যথার্থই এক সংশপ্তক। হ্যাঁ, আমি মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কথা বলছি। কত বিশেষণ তাঁর, দীর্ঘ জীবনের বহুভুজি অবদানে। ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আইনজীবী, সংসদ সদস্য, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, গণতান্ত্রিক চেতনায় নিরন্তর যোদ্ধা, সমাজসেবক, ধার্মিক, সাচ্চা জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু শিশু সরল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের একান্ত পরিচিতি আমরা কজনইবা জানি। আর জানলেও তা কতটা? যেটুকু জেনেছি তাতে মনে হয়েছে, খোন্দকার দেলোয়ারের হৃদয় একটা বিশাল সমুদ্র। তিনি যেন একটি রাজনৈতিক বিজ্ঞানাগার। বিশাল সমুদ্রের সহস্র গর্জনে মাতোয়ারা সত্যের সাহায্যে পরিপূর্ণ বিস্ময়কর এক অন্তহীন জলরাশি। কেউ ছাত্র হতে চাইলে সে পরম মমতাময় একজন শিক্ষক পেতেন, রাজনীতি শিখতে চাইলে সে অকৃপণ হাতের ভান্ডার নিতে পারতেন, হতাশায় নুয়ে পড়া কেউ কাছে গিয়ে নিষ্কলুষ স্বীকারোক্তি দিলে আশার সঞ্জীবনী সুধা নিয়ে ফিরতে পারতেন। কিন্তু কখনো রাজনীতি করার মানসিকতায় কেউ কাছে গেলে সে নিশ্চিত রাগী অনমনীয় একজন মানুষের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেতেন। অন্য যে কোনো নেতার চেয়ে খোন্দকার সাহেব রাজনীতিবিদদের আয়নার ছবিটি বেশি পরিষ্কার করে দেখতে পেতেন। যত বেশি তাঁর কাছে গিয়েছি, তত বেশি মনে হয়েছে এক বিশাল অনাবিষ্কৃত খনির সামান্যটুকুই আহরণ করতে পেরেছি। সারাক্ষণ যিনি বিশ্বাস করতেন মানবজীবনে সুসময়-দুঃসময় বলতে কিছু নেই। কাজে লাগাতে পারলে পুরো জীবনকালটাই যথার্থ সময়। তাঁকে কখনো মনে হতো অভিভাবক, কখনো পথপ্রদর্শক, কখনো বন্ধু, কখনো আত্ম-অভিমানী এক শিশু। মানবচরিত্রের সব বৈশিষ্ট্যের এক অপূর্ব ছন্দময় মিশেল ছিল তাঁর সত্তার ক্যানভাসে। মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁকে দিয়েছিলেন শ্রদ্ধা সম্মানের বিরল এক সৌভাগ্য। মাত্র চার বছরের মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকালে তিনি এলেন, কাজ করলেন, জয় করলেন- এটুকু বলে না থামলে মহাকাব্য লিখতে হবে তাঁর কর্মকান্ড নিয়ে। মহান আল্লাহর কাছে জীবনপাখি জমা দেওয়ার পর মৃতদেহকে ঘিরে পক্ষ-বিপক্ষ, মত-বিপরীত মত, নারী-পুরুষ, বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে এয়ারপোর্ট, আরমানিটোলা মাঠ, শহীদ মিনার, হাই কোর্ট, সংসদ প্লাজা, বিএনপি অফিস, মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজ, ঘিওর, পাঁচুরিয়া- সর্বত্র শোকার্ত মানুষের মিছিল, জানাজা নামাজের সবকিছু মিলে মনে হয়েছে তাঁর জীবনের সব উজ্জ্বলতা তাঁর শেষ আবাসস্থল অনুকার মাটির ঘরটিকেও উজ্জ্বলতায় ভাসিয়ে দিয়েছে।

এ মানুষটির খুব কাছে যাওয়ার সুযোগ আমার হয়েছে ২০০১ থেকে ২০১১-এর তাঁর শেষকৃত্য পর্যন্ত। ২০০১-এর চারদলীয় জোটের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংসদে এক দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর আমি উদাহরণ হিসেবে বলেছিলাম, আইন ভঙ্গের দায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর মন্ত্রী-পুত্রকেও ছাড় দেননি, নিজ দলের সংসদ সদস্যকে ছাড় দেননি, সংসদের চিফ হুইপের পুত্রকেও রেহাই দেননি। অধিবেশনের বিরতিকালে অত্যন্ত হাসিমুখে দেলোয়ার ভাই আমার নাম ধরে বললেন- তুমিও আমাকে Escape Goat বানালে! ভালো। আমি লজ্জা পেয়েছিলাম কিন্তু কষ্ট পাইনি। কারণ উনি কষ্ট পাওয়ার মতো করে বলেননি। ন্যাম ভবনের ফ্ল্যাট বরাদ্দকালীন বরাদ্দ কমিটির প্রধান হিসেবে তাঁর কাছে ১৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট চেয়েছিলাম। হাসিমুখে দরখাস্তটি হাতে নিয়ে বললেন, তুমি তো কোনো পদার্থই না। একাধিকবার এমপি যুবদলের সেক্রেটারি আর ঢাকা শহরে নিজের একটা বাসা নেই! একটুও ইন্ধন মনে হয়নি ওনার কথায়, বরং তৃপ্তি পাওয়ার উপাদান খুঁজে পেয়েছিলাম কথার সুরে এবং প্রকাশ ভঙ্গিতে। ২০০৭-এর ১১ জানুয়ারির পর মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার আগে একবার একটা জটিল সমস্যার স্পষ্ট ও দৃঢ় সমাধানের পরামর্শ দিলেন। তারেক রহমান এবং দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে সব দৈনিকে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলো। তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান ফোনে সব অঙ্গ-সংগঠনকে বললেন, ‘নিন্দা প্রতিবাদ’ পাঠাতে পত্রিকায়। আমি যুবদলের তৎকালীন সভাপতি এবং আমার যৌথ প্রতিবাদ লিখে পাঠালে রাতে কয়েকজন সাংবাদিক জানালেন যুবদল সভাপতি তাঁর নাম ছাপাতে নিষেধ করেছেন। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কাছে চিন্তিত মনে দ্রুত গিয়ে হাজির হয়ে পরামর্শ চাইলে বিনা দ্বিধায় বললেন, সাহস থাকলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তোমার একার নাম ছাপাতে বলো। আমি তাই করলাম- পরদিন পত্রিকাগুলোতে আমার একার বরাতে ‘নিন্দা প্রতিবাদ’ ছাপানো হলো। এ ঘটনার কয়েকদিন পর তিনি আমাকে ডেকে সতর্ক করলেন- তুমি একটু সাবধানে চলাফেরা কর। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও আমাকে একই পরামর্শ দিলেন। শহীদ জিয়ার মাজারে সংস্কারপন্থি কয়েক নেতা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহর সঙ্গে আমিও আসামি হলাম। আমার বাড়িঘর তল্লাশি শুরু হলো। ১১ জানুয়ারি ২০০৭-এর জরুরি অবস্থাকালীন প্রথম রাজনৈতিক মামলা ছিল সেটি এবং বহুল আলোচিতও বটে। দেলোয়ার ভাই আমাকে সাহস দিতেন। জরুরি অবস্থা জারির কিছুদিন পর দেশনেত্রী আমাকে চারজন সিনিয়র নেতার কাছে কিছু মেসেজ দিয়ে পাঠালেন এবং আলোচনার ফলাফল পরদিন রাতেই উনাকে জানাতে বললেন। চারজনের মধ্যে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন একজন ছিলেন। আমি পুরো মিশন শেষ করতে গিয়ে দেখলাম অনেক ভাগ্যবান অনেক প্রাপ্তির অধিকারীদের পলায়নি কিংবা সমঝোতামূলক মানসিকতা। একমাত্র খোন্দকার দেলোয়ার সেদিন সাহস দিয়েছিলেন এই বলে- ‘একটু ধৈর্য ধর, ইমান ঠিক রেখে কাজ করলে আর সৎ সাহস দেখাতে পারলে স্বৈরাচার পালাতে বাধ্য হবে। শহীদ জিয়া আর বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা এবং দৃঢ়তা সম্পর্কে এই অসভ্যরা জানে না। সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় বছর লাগবে সব ঠিক হতে। বিএনপি ষড়যন্ত্রের শিকার এর আগেও হয়েছে। এবারও এটা সাময়িক।’ আমাদের সাবেক মন্ত্রী (সিনিয়র) নেতা, এমপিরা অনেকেই তখন জেল-জরিমানায় একটু বিচলিত, আমি নিজেও। যা হোক ম্যাডামকে সারসংক্ষেপ জানালাম। ম্যাডাম শুধু বললেন, তোমার কথা শুনে তো মনে হচ্ছে উনাকে দিয়ে হবে, তাই না? আমি হ্যাঁ সূচক মতামত দিলাম। জরুরি বিধির ১৬(২) ধারায় আমার গ্রেফতার, রিমান্ড শুরু হওয়ার পূর্বে খোন্দকার দেলোয়ার সাহেব একাধিকবার ন্যাম ফ্ল্যাটে বসে আমাকে সতর্ক করে বলেছিলেন, তুমি খুব সতর্কভাবে চলাফেরা কর, তোমার বিপদ হবে; কিন্তু ঘরের ভিতরের ইন্ধনে। একবার খুব জোরের সঙ্গে বললেন রুহুল কবির রিজভী এবং ফরহাদ হোসেন আজাদের সামনেও। এর অনুকরণে বহুমাত্রিক ঘটনাপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছিল। সে প্রসঙ্গ অন্য দিনের জন্য থাক। যখন দেশনেত্রী কারাগারে, প্রিয় নেতা তারেক রহমান পঙ্গুপ্রায় অবস্থায় কারাগারে বন্দি, আরাফাত রহমান মৃতপ্রায় কারাগারে বন্দি, সিনিয়র নেতারা হয় কারাগারে, না হয় পলাতক, উদ্যত বুটের তলায় পিষ্ট হয়ে গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার মৃতপ্রায়, চারদিকে ঘনঘোর অন্ধকার, তখন শুধু একটাই বাতিঘর ছিল সামনে। সেই বাতিঘর হিমালয়ের মতো দৃঢ়, অবিচল, সব আঘাত সইবার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। বেগম খালেদা জিয়ার আমানত রক্ষার প্রয়োজনে জীবন দিতে তৈরি এক মহিরুহ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। তাঁর পাশাপাশি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হান্নান শাহসহ আরও কতিপয় সিনিয়র-জুনিয়র নেতা ছিলেন। তবে নিজ পুত্রকে নির্দয় টর্চার সেলে আর্তচিৎকাররত অবস্থায় গোয়েন্দা দফতর থেকে ফোন করে জন্মদাতা পিতাকে তা শুনিয়ে দুর্বল করে তাঁর বিশ্বাস এবং দৃঢ়তা থেকে সরানোর যে ফ্যাসিবাদী অপচেষ্টা- তার মর্মযাতনা, অসহনীয় যন্ত্রণা শুধু জন্মদাতা মমতাময় পিতা ছাড়া আর কারও পক্ষে পরিপূর্ণ অনুভব করা সম্ভব নয়। একমাত্র খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সে দুঃসহ যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করে পেরেছিলেন পিতৃত্বের ওপর নেতৃত্বকে স্থান দিতে। যেটা সচরাচর অকল্পনীয়। এরপরও ক্রমাগত হুমকি, ভীতি, মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে বারডেম হাসপাতাল থেকে তাঁর কৌশলগত দুঃসাহসী অন্তর্ধান না হলে সেদিন বিএনপি ভয়ংকর পরিণতির মুখোমুখি হতো। এরকম ঘন ঘন দুঃসাহসী যুদ্ধ জয় করে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সক্ষম হয়েছিলেন বৃহত্তর যুদ্ধের সেনাপতির দায়িত্ব দেশনেত্রীর হাতে সফল এবং সুন্দরভাবে তুলে দিতে। আর সেজন্যই তিনি সংশপ্তক।

ফুরফরে মেজাজে থাকলে অনেক সময় প্রাণখোলা দুষ্টুমি করতেন তিনি। আবার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় নির্দ্বিধায় মনের ভাব প্রকাশ করতেন। একাধিক হাসপাতালে বিভিন্ন সময় তাঁকে দেখতে গেলে দোয়া চাইতেন এবং দোয়া করতেন। আজ খুব মনে পড়ে, ‘অনেকেই পচে গেছে, তুমি পচো না, এই স্টাইলটা ধরে রেখ। ভবিষ্যৎ ভালো হবে’-বলেছিলেন তিনি। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়িতে এক দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর একান্ত সংস্পর্শে কাটিয়েছি। লুঙ্গি পরিহিত গেঞ্জি গায়ে লাঠি হাতে দৃঢ় পদক্ষেপে সোজা হাঁটতে হাঁটতে অনেক গল্প, শৈশবে নদীতে সাঁতার কাটা, হা-ডু-ডু খেলা, বন্ধুদের গল্প, শিক্ষকতা, আইন পেশা, বহু স্মৃতি রোমন্থন করেছেন তিনি। তাঁর বাড়ির আঙিনায় বহু ফলদ গাছ, পুকুর, মাছ দেখিয়েছেন। তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদ, বাগান দেখিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে দুপুরের খাবার খেলাম, ফাঁকে ফাঁকে রাজনৈতিক আলোচনা, মসজিদে নামাজ পড়া, অনেক অনেক দোয়া পেয়েছি তাঁর কাছ থেকে আমি। যুবদলের ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশ হলো নারায়ণগঞ্জে। মহাসচিব হিসেবে ঢাকার বাইরে বিএনপির গোটা পরিবারের কোনো বড় সমাবেশে এটাই সম্ভবত তাঁর প্রথম এবং শেষ উপস্থিতি। দীর্ঘ সময় সমাবেশে তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য রাখলেন। মুক্তকণ্ঠে তিনি স্বীকৃতি দিলেন ঢাকার বাইরে এত বিশাল এবং এত সুশৃঙ্খল সমাবেশ তিনি আর দেখেননি। বর্তমান যুবদল কমিটির প্রতি এটা ছিল তাঁর প্রকাশ্য প্রশংসা এবং স্বীকৃতি। বিএনপি আয়োজিত মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্মরণে জাতীয় শোকসভায় আমি প্রস্তাব করেছিলাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্দিষ্ট যে চেয়ারটিতে তিনি বসতেন সেটি সংরক্ষিত রাখা হোক এবং তাঁর সম্মানে একটি সম্মাননা চেয়ার প্রবর্তন করা হোক। বিএনপিতে নির্মোহ থেকে ইমানদারির সঙ্গে যারা শত প্রতিকূলতার মাঝেও দায়িত্ব পালন তথা নেতৃত্ব দানে সফল হবে তাদের ‘খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সম্মাননা চেয়ার’-এ ক্রমানুসারে বসার সুযোগ দেওয়া হবে। আমার মতে, এর দ্বারা তাঁর কর্মের মূল্যায়নের প্রতি সম্মান চিরকাল থাকবে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রেরণা পাবে সঠিক নির্মোহ, সাহসী দায়িত্ব পালনে। মরহুমের ব্যবহৃত চেয়ারটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাসচিবের কক্ষে সসম্মানে সংরক্ষিত আছে। খুব ভালো লাগে দেখলে। এখন আরও ভালো লাগবে পরবর্তী প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হতে দেখলে, প্রতীক্ষায় থাকলাম। আল্লাহ রব্বুল আলামিন মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে জান্নাতবাসী করুন। তাঁর রেখে যাওয়া কর্মপ্রেরণা এবং আদর্শে উজ্জীবিত করুক আমাদের সবাইকে।

লেখক : যুগ্ম-মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)

সর্বশেষ খবর