মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিক্ষাঙ্গনে নিপীড়ন

শিক্ষাবিদদের পরামর্শ আমলে নিন

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রী নিপীড়ন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নিপীড়নের শিকারদের কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহননে ইতোমধ্যে তার একজন সহপাঠী ও একজন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বভাবতই কীভাবে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রী নির্যাতন বন্ধ হতে পারে তা শিক্ষাবিদসহ বুদ্ধিবৃত্তির সঙ্গে জড়িত সব মহলকেই ভাবিয়ে তুলেছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে শুধু আন্দোলন নয়, এটা শিক্ষা কার্যক্রমেরও অংশ হওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাসেই এসব বিষয় কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের আওতায় আনতে হবে। নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ে শিক্ষার্থীদের আমাদের সামাজিক গঠন, সম্মান, মর্যাদা এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে হবে। মানসিক অবসাদ কীভাবে সামলাতে হবে সেটিও ধারাবাহিক কাউন্সেলিংয়ের মধ্যে রাখতে হবে। যে কোনো নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবিলার মতো মানসিক শক্তি তাদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজের অভিমত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও শৃঙ্খলাবিধিতে নিপীড়নের অপরাধে কী ধরনের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। এসব আইন কার্যকর হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হয়ে যাবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ককে পবিত্র রাখতে হবে। এ বিষয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, প্রতিদিন পত্র-পত্রিকায় আমরা দেখি শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রীদের নির্যাতিত ও নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে। এগুলো বন্ধে অভিযুক্তকে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হলে শিক্ষাঙ্গনে এসব ঘটনা অনেকটা কমে যাবে। দেশের শীর্ষ তিন শিক্ষাবিদের বক্তব্যের সঙ্গে আমরা ঐকমত্য পোষণ করছি। আমাদের বিশ্বাস, শিক্ষাঙ্গনে নিপীড়ন বন্ধে তাঁদের পরামর্শগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর