বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

শেয়ারবাজারে ধস

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের রক্ষার উদ্যোগ নিন

শেয়ারের দাম কমতে কমতে তলানিতে নেমেছে। লাখ লাখ বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন শেয়ারের দরপতনে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারিয়ে দিশাহারা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও একইভাবে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ইক্যুইটি এখন নেতিবাচক। দিন যত যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের অবস্থা নাজুক থেকে নাজুকতর হচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, দরপতনের জন্য যেমন দায়ী তেমন দায়ী কারসাজি চক্রের দৌরাত্ম্য। নানা ধরনের গুজব শেয়ারবাজারে চরম আস্থাহীনতা সৃষ্টি করছে। লোকসান কমাতে দিশা খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শেয়ারবাজার নিয়ে ছড়ানো নানা গুজব সর্বনাশ ডেকে আনছে। বাজারে সহায়তা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ টাকার অভাবে পড়েছে। ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো শেয়ার কেনার বদলে বিক্রির পথে হাঁটায় চাপ বাড়ছে। আবার কিছু খাতের প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ধস অনিবার্য হয়ে উঠছে। সব মিলিয়েই শেয়ারবাজারে টানা দরপতন চলছে। দুনিয়ার সব দেশে শেয়ারবাজারে দাম বাড়লে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হন আর কমলে হন ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু দুনিয়ার কোথাও বাংলাদেশের মতো বিনিয়োগকারীদের পকেট কাটার কারসাজি ঘটে কি না আমাদের জানা নেই। শেয়ারবাজারে ধসে শুধু বিনিয়োগকারীরাই নিঃস্ব হচ্ছে না, তাদের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সরকার কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য কাউকে উদ্বুদ্ধ করে না। কিন্তু বাজারে ধস নামলে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় সরকারকে। এ প্রেক্ষাপটে শেয়ারবাজার নিয়ে যারা খেলছে, তাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় যা যা করার দরকার করতে হবে সরকারকে।

সর্বশেষ খবর