শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

হলমার্ককান্ড

ব্যাংক ঋণ লোপাটে আরও কঠোর হোন

হলমার্ককান্ডে ব্যাংক ঋণ আত্মসাতের হোতা তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালত। দেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে দুদকের মামলায় তাদের শাস্তি পেতে হলো। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলাটি ব্যাংকিং ইতিহাসের এক বিস্ময়কর ঘটনা। যে অপরাধীরা দেশের জনগণের আমানত, দেশের ব্যাংকিংব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতিকে খেলা মনে করে তাদের মৃত্যুদন্ডের মতো সাজা হওয়া উচিত বলে আদালত মনে করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আইনে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন হওয়ায় অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হলো। সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় ২০১২ সালে হলমার্ক গ্রুপের মালিক, কর্মকর্তা এবং সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। রায়ে হলমার্কের এমডি ও চেয়ারম্যান তানভীর ও জেসমিনকে দন্ডবিধির ৪০৯ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫ কোটি টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ৪২০ ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। তানভীরের ভায়রা হলমার্কের জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক এবং টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসানকে দন্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ৪২০ ও ১০৯ ধারায় তাদের সাত বছর করে কারাদন্ড এবং ২ লাখ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেমের রায়ে বাকি ৮ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা  দেওয়া হয়। হলমার্ককান্ডে লুটেরা চক্রকে যারা সহায়তা করেছেন তারাও সমভাবে অপরাধী। আমরাও একমত এ ধরনের অপরাধীদের মৃত্যুদন্ডই হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে আর কোনো হলমার্ককান্ড  যাতে মাথাচাড়া না দেয় তা নিশ্চিত করতে আরও কড়া আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর